বহু বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে ভ্রমণ করেছিলাম মহাকাশের পথে।
আজ ফিরে এসে নোংরা গলির সুউচ্চ প্রাচীর দেখে অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে আছি।
পুরনো ছাদগুলো অতীতের স্মৃতির ভারে নুয়ে পড়েছে।
নবাগতের প্রভাবে উত্তপ্ত সূর্য মলিন হয়ে আছে।
নোংরাগুলো বস্তাবন্দি হয়েছে ভেবে আশাবাদী আমি নিঃশ্বাস ছেড়ে এগিয়ে দেখি বস্তা জোরা মস্ত এক ফুটো।
ফুটপাতের বাসিন্দাদের ময়লা ছেড়ে পিচঢালা বিছানায় প্রত্যাবর্তন– সময়ের পরিবর্তনের একটা নিদর্শন।
উড়ে আসা ধোঁয়াকে মেঘ ভেবে যে ভুল করেছি
কালো মেঘের কটাগন্ধযুক্ত বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে
উজ্জ্বল আলোয় সম্মোহন হারিয়ে ফেলা আমি
তা বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছি।
প্যাডেলওয়ালা চিকন চাকাগুলো যখন
দিনে দিনে মোটা হয়ে দিকবিদিক গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল,
উন্নতি তখনই কম্পাসের দিক পালটে
যাত্রা করেছিলো কম উন্নত দেশগুলোর দিকে।
গতির সাথে তাল মেলানোর চেষ্টায় বাবু সাজতে গিয়ে
টাইয়ের গিঁটে হৃদপিণ্ড আটকে হাসফাস করছে সবাই।
পরিবর্তন কে মেনে নিতে আমার তখনই দ্বিধা হলো
যখন দেখি এ জিনিস শুধু একাংশকেই স্পর্শ করেছে।
ডাস্টবিনে মানুষ আর কুকুরের বসবাস যেখানে বহাল থাকবেই
সেখানে উন্নতি ঠিক কোথায় আমার বোধগম্য হলোনা।
নবাগতের ন্যায় ভবঘুরে হয়ে নতুন বিশ্বকে যখন আবিষ্কার করছিলাম,
ঠিক সে সময় আমায় পিষে দিয়ে গেলো
এক অতিকায় দানব।
অবাক হবো ভেবে যখন দেখলাম–
মানুষের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যাথাই নেই
তখন চোখ বুঝে উষ্ণ রক্তের গন্ধ নিতে লাগলাম।
আর এই ভেবে মৃদ্যু হাসলাম–
অচেনা মহাকাশ আমায় মেনে নিতে পারে কিন্তু
চেনা জন্মভূমি অচেনা হলে
সেখানে আমি একদমই বেমানান।
টের পেলাম পিচ ঢালা এ রাস্তা এতটাই উন্নত আমার টগবগে রক্ত নিমিষেই মুছে দিচ্ছে
যেন এ ভয়াবহ দৃশ্য কাউকে স্পর্শ না করে,,,,,,,