হে অস্তিত্বহীন বিশ্বাস,
আমার মাদারবনের বিশৃঙ্খল ফেরা ফিরিয়ে দাও
অর্জুন-তমাল-মেহগনি-বাদরলাঁঠী গাছ নয় কোন
আমার বিস্মৃত প্রাচিলের বিশ্বাস কে কেড়ে নেয়, আরন্যক?
'মেনে চলা'র শেকল আমি যে বইতে পারিনা।
তোমাদের বিধাতাকে আমি চিনি, স্বর্নলতা;
তিশীখালির পেটমোটা খাদেমের মত নূরানী
বারুহাশের মেলার বুড়ো, টোকা দিলেই মাথা নাড়ায়।
কার সাধ্য আমায় মায়ার বেড়িপরায়,
ঢু মেরে আসি তোমাদের নিষিদ্ধে, তোমাদের নিষেধে।
পতিত কুঠরীর বট-পাইকরের গন্ধ যে বুড়ো ভাম শুকে দেখেনি,
সে আবার ঈশ্বর কিসের, আমি তাকেও অধিকার দেইনি।
সময়ের ছিবলা দাতে ছিড়ে ফুরেই আমার দিনগুজরান,
মৌটুসী-কাঁশের ডালভাঙ্গা কাঁচা জঙ্গলীগন্ধ ভর-রাত্রে
আমি চেয়ে নিতে চাইনি, হে অস্তিত্বহীন বিশ্বাস
আমার নাকের ডগাতেই থাকে পোঁটলার আঁশটে
আমি শুধু চাই
একটু বুঝিয়ে দেবে কি, 'আমি কারো নয়'।
আমি তোমাদের নিয়মমাফিক বন্দি নই কথোপকথনে।
আমায় ক্ষমা করো আমি সোজা কথা 'পারিনা'!!!