মৃত্তিকার ঢিলা ভেঙ্গে একটা নারী মূর্তি কে যেন গড়েছিল খেলার ছলে
তারপর সে শরীর ছুয়ে আকিবুকি করেছিল
ছিঃ এমনটা হতে পারে না,
বিস্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় আমি!
বলেছিলাম সুর্য টা মাথার উপরে চলে যাওয়ার পূর্বেই আপনি চলে যান
মুর্তিটি বলেছিল, আরেকটু দেখি।
সেকি হাসাহাসি, আবালবৃদ্ধবনিতার মুখে যেন হাসির মাখামাখি।
লজ্জায় নারী মুর্তিটি দিক্বিদিক ছুটাছুটি করছিল,
এর পেছনে কলকাটি নেড়েছিল এক সেলেব্রেটি।
যার লাইব্রেরিতে সহস্রাধিক বইয়ের স্তুপ!
নারী মুর্তিটিকে বলেছিলাম আমার শার্টখানা আপনাকে খুলে দেই?
অস্বীকার করে তার পলায়ন ঘটেছিল।
আর ফেরেনি।
তারপর সেলেব্রেটির দল আগুন প্রজ্বলন করে
ধানমন্ডির রবিন্দ্র সরোবরে মৌন প্রতিবাদ মিছিল করেছিল,
আমি নারী মুর্তিটিকে দেখেছিলাম বাংলা একাডেমীর সমস্ত বইকে কালো কাপড়ের কাফনে বেধে রাখতে।
প্রতিবাদে আমিও আমার বুকসেল্ফের বইগুলো বেধে দিয়েছিলাম কালো কাপড়ের কাফনে।
সেলেব্রেটি কি করেছিল আমার তা জানা ছিল না।