মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর গণতন্ত্র, ডিস্টোপিয়া, স্বৈরাচার, নারীবাদ এবং অতি ডানপন্থী রাজনীতি বিষয়ক বইগুলো দ্রুত বেস্টসেলার তালিকায় উঠে গেছে।
কানাডিয়ান লেখক মার্গারেট অ্যাটউডের বিখ্যাত ডিস্টোপিয়ান উপন্যাস ‘দ্য হ্যান্ডমেইডস টেল’। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত এই বইটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যামাজন বেস্ট সেলার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই বইয়ের সিক্যুয়াল 'দ্য টেস্টামেন্টস' এর বিক্রিও বেড়েছে।
মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে মার্গারেট অ্যাটউড লিখেছেন, ‘হতাশা কোনো বিকল্প নয়, এটি কাউকে সাহায্য করে না।’
ইতিহাসবিদ টিমোথি স্নাইডার রচিত 'অন টাইরানি' বেস্টসেলারের তালিকায় ৮ নম্বরে উঠে এসেছে। বইটি ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়। পাঠকরা জর্জ অরওয়েলের বিখ্যাত ডিস্টোপিয়া ‘নাইনটিন এইটি-ফোর’ এর দিকেও ঝুঁকছেন। ১৯৪৯ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটি তালিকার ১৬তম স্থানে চলে এসেছে।
এদিকে স্যামি সেজ এবং এমিলি অ্যামিকের ‘ডেমোক্রেসি ইন রেট্রোগ্রেড’ অ্যামাজনের মুভার্স এন্ড শেকারস চার্টের শীর্ষে রয়েছে। এই চার্টটি গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইগুলোর অবস্থান নির্ণয় করে।
মার্কিন লেখক রেবেকা সলনিটের ‘মেন এক্সপ্লেইন থিংস টু মি’ বইটিও সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের তালিকায় রয়েছে। গত কয়েকদিনে এই বইটির বিক্রি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালে প্রকাশিত এই বইটি মূলত নারীবাদী প্রবন্ধ সংগ্রহ।
৬ নভেম্বর গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি কলামে ট্রাম্পের ব্যাপক সমালোচনা করেন রেবেকা সলনিট।
ল্যাটিনোদের মধ্যে অতি ডানপন্থী মনোভাব বৃদ্ধির বিষয়ে লেখা পাওলো রামোসের বই 'ডিফেক্টরস' এর চাহিদাও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর থেকে এ বই নিয়ে পাঠকদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ল্যাটিনো পুরুষদের ভোট বেশি পেয়েছেন তিনি।
বৃটিশ লেখক লরা বেটসের ‘মেন হু হেট উইমেন’ বইয়ের বিক্রিও বেড়েছে। এটি নারী বিদ্বেষ এবং অনলাইন ইয়ুথ র্যাডিকেলাইজেশন নিয়ে লেখা একটি বই। বুথ ফেরত জরিপ অনুযায়ী, ট্রাম্প এবার তরুণদের ভোটও বেশি পেয়েছেন।
ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের লেখা স্মৃতিকথা ‘দ্য ট্রুথস উই হোল্ড’ বেস্টসেলার চার্টের ৩৪৫তম স্থানে রয়েছে। হবু ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের স্মৃতিকথা 'মেলানিয়া' চার্টের শীর্ষে রয়েছে। অপরদিকে নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের স্মৃতিকথা ‘হিলবিলি এলিজি’ ৭ নম্বরে রয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান