Posts

গল্প

কথকের চোখে নারী

November 8, 2024

আব্দুছ ছামাদ আজাদ

113
View

চোখের দেখার বাইরেও অনেক সময় বিশ্বাসের অবমূল্যায়ন হয়!

চরম পর্যায়ের বিশ্বাসের মধ্যে একটি হলো কোন সোমত্ত মেয়েকে বাবা-মা, ভাই বা তাঁর পরিবার কর্তৃক দেওয়া স্বাধীনতা।

যারা পেয়েছেন নির্দ্বিধায় বলতে পারেন আপনার পরিবার আপনার প্রতি যে আস্থা রাখেন সেটা গগণচুম্বী।

টু দ্যা পয়েন্ট--

টিলাগড় পয়েন্ট 'JM Enterprise' এ বসে চা খাচ্ছিলাম সাথে ফখরুল- সে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছে....

ফখরুল: দেখ! একটা সোমত্ত মেয়ে হয়ে আরেকটা ছেলের হাত ধরে কত স্বাভাবিক ভাবে হাটছে!

কথক: হ্যা খুব সুন্দর তবে বিশ্রী সুন্দর। দেখে মনে হচ্ছে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী দুজনেই।

ফখরুল: আচ্ছা যদি ঐ ছেলে হাতটা ছেড়ে দেয়? তবে কী হবে?

কথক: কিছু হবে না, আরেকটা হাত খুঁজে নিবে হয়তো এর জন্য ২/১ দিন সময় নষ্ট হবে।

ফখরুল: ধরা ছাড়ার এই দুনিয়াতে আমরা কই আছি?

কথক: ভালোই আছি তবে এই বিষয়ে আফসোস করলে পাপ হবে।

ফখরুল: একটা দীর্ঘশ্বাস.....

এবার ঐ মেয়ের কথাই ধরি, সে তো তার বাবা-মায়ের বিশ্বাসকে কলুষিত করলো, এবং তাকে যে সকল বাবা-মা, ভাই বা অভিভাবকেরা দেখলো! তাঁদের মেয়েরা সুহৃদ থাকা সত্ত্বেও একটা সন্ধেহের চোখ তাঁদের উপর রাখছেই রাখছে।

স্বপ্ন পুরণের আশায় যে সকল মেয়েরা ঘর ছাড়লো স্বল্প টাকায় মেসে বা ছাত্রী হোস্টেলে এসে পড়াশোনা শুরু করলো তাদের উপরও এর প্রভাব পরছে! কোনো ভাই-ই চান না যে তাঁর বোন কোথাও একদিন হলেও থাকুক, হোক সেটা কেনো নিকটাত্মীয়ের বাসা, এটাকে অবিশ্বাস বলা হলে আমার চিন্তার অবিচার করা হবে! বুঝাতে চাইছি বোনের প্রতি ভালোবাসাকে।

সেই জায়গায় এত আদরের বোনটিকে বছরের পর বছর মেসে বা ছাত্রী হোস্টেলে থাকতে হচ্ছে!

বিশ্বাসের মাত্রাটা জাস্ট আনবিলিভেইবল।

পরিসংখ্যানে দেখা যায় মেস/হোস্টেলে থাকা খাওয়া অনেক নিম্নমানের। কিন্তু তাঁরা এসব জেনে শুনেও স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে, এরাও ভুক্তভোগী! এটা স্বাভাবিক যে এ লিখাটা পড়ে কোনো পাঠক উৎসাহিত হবে আবার হয়তো কেউ ঢং বলে বিকৃত করবে।

তবে সত্য যে বড় কঠিন তাও সত্যকেই আমাদের ভালোবাসতে হবে।

বিবাহ বহির্ভূত সোমত্ত ছেলে মেয়ে হাত ধরাধরি করে হাটা সংস্কৃতির পরিপন্থী।

হাত ধরবে না কেন? ধরবে খুব শক্ত করে ধরবে! সেটা যেনো হালাল ভাবে প্রকৃত বীরপুরুষের মতো হয়। আর তখনই প্রকৃত বীরপুরুষ হবে যখন বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে পছন্দের সেই হাতটাকে শক্ত করে ধরে যুগের পর যুগ কাটিয়ে সম্পর্কটাকে অনন্তকালের দিকে নিয়ে অগ্রসর হবে।

বাবার ঝরানো ঘাম, ভাইয়ের অগাধ বিশ্বাস, মায়ের দেওয়া আদর্শ শিক্ষা এ সকল জলাঞ্জলি না দেওয়ায় এ সমাজে 'কনে' পাওয়া যাচ্ছে। আর যারা দিচ্ছে বেপরোয়া ভাবে চলছে তারা নৈতিকতার বাইরে।

পজিটিভ-ই দেখতে ভালো লাগে।

সত্য সুন্দর, সুন্দর সত্য।

ধন্যবাদ

Comments

    Please login to post comment. Login