Posts

কবিতা

শূন্য ছয়-এগারো-চব্বিশ

November 8, 2024

হাসিন এহ্সাস লগ্ন

185
View

আমাদের শহরে অন্ধকার নাই।
মেহগনি কাঠের আলমারি কিংবা 
সেই ভেন্টিলেটর, যার বাইরে ‘পেস্ট কালারের’ প্রলেপ,
সেখানে কিছু অন্ধকার হয়তো 
খুঁজলে পাওয়া যাবে। 
আমরা সেদিন ছিলাম সেখানে, ঋত্বিকের বসতভিটা। 
গালভরা মা মাটি, টুকরো ইট, হলুদ হলুদ চুন— কিছু সেখানে আছে।
আর মোমপোড়া ঘ্রাণ।
একটা মোম পুরোপুরি পুড়তে কত মুহূর্ত যায়, 
কেউ যদি কখনও জিজ্ঞেস করে, 
একজ্যাক্ট উত্তর না জানলেও কিছুটা বলতে পারবো।
আমরা আবারও জেনেছি, ‘লিভিং ইজ অ্যান আর্ট!’
আর কীটসের কথা— ‘দ্য পোয়েট্রি অব আর্ট ইজ নেভার ডেড!’
এই যে হালকা বাতাস, শীত আসছে, বোঝা যায়। 
এরা কাপ না ধুয়ে কয়েকবার ক’রে চা দিয়ে যাচ্ছে। 
ধোঁয়ায় ভেজা চশমা-কাঁচের ভেতর দিয়ে আমরা দেখি ‘দ্য ক্লাউড-ক্যাপ্ড স্টার’।
কেমন সুররিয়েল না?
তুমি জানো জাঁক প্রেভের প্রেমিকার সিগারেট বাট জমিয়ে রাখতো?
যেভাবে এই কাপ জমা হ’তে যাচ্ছে আমার প্রেমার্কাইভে।
আমাদের উঠতে হবে।
প্রজেক্টরকে বলতে হবে বাই।
সাউন্ড সিস্টেম, বাই!
বাই ঋত্বিক!
আবার আসবো, দেখা হবে।
আমাদের শহরে রিকশাদের খুব তাড়া।
কত দ্রুত যায়...
রাস্তাও খুব অল্প, আর আলোকিত যথারীতি। 
বাতাস কি বাড়ছে?
এই বাতাসটা অন্যরকম শব্দ তুলে যায়, শুনশান দীঘির ওপর দিয়ে যাওয়া বাতাসের মতো— হু হু হু হু...
‘এমন নিজস্ব দিন দীর্ঘ হোক— আহা!’
থামালে যে? কোনো দরকার?
সিগারেট নিচ্ছো? আচ্ছা ধরাও।
কেমন তাকাচ্ছো, আইসক্রিম বক্সের দিকে।
‘তুমি কিছু খেতে চাও?’
না না! দ্যাখো আমার কাজল কীভাবে লেপ্টে গেছে।
এটা অন্ধকার। 
পাশের গ্রেভইয়ার্ডে তোমার জন্মনাড়ি পোঁতা। 
সেখানেও বেশ খানিকটা অন্ধকার আমরা পাবো।
টুপটাপ পতনের শব্দ পাচ্ছো তুমি? 
প্রকৃতিবিরুদ্ধভাবে চুপচাপ থাকি।
চাঁদটা রূপচাঁদার বারবিকিউ।
এবার যেতে হবে, যাও।
রঙবেরঙ জেল্লার ভীড়ে
তুমি এক অন্ধ-আধার।
বোধহয় জানো না।
বিকিয়ে দাও না কেন? ভালো কিছুই হবে।

Comments

    Please login to post comment. Login