****শ্রী রাম এবং তাঁর ধৈর্য্যের গল্প
অনেক অনেক বছর আগে, অযোধ্যা নগরে রাজা দশরথ এবং রানী কৈকেয়ী এক সুন্দর রাজকুমার জন্ম দেন। তাঁর নাম রাম। তিনি ছিলেন আদর্শ পুরুষ, যিনি তাঁর নৈতিকতা, সাহস এবং প্রেমের জন্য সমগ্র পৃথিবীজুড়ে পরিচিত। শ্রী রাম ছিলেন সত্য, দয়া, ন্যায়পরায়ণতা, এবং ধৈর্য্যের প্রতীক।
একদিন, রাজার বয়স বাড়ে এবং তিনি তাঁর রাজ্যের উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। তিনি রামকে তার উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করেন। কিন্তু রাজমাতা কৈকেয়ী, যিনি রাজ্যে কিছুদিন আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে চান। তিনি রাজার কাছে একটি পুরনো প্রতিশ্রুতি দাবি করেন, যা তাঁর পুত্র ভরতকে রাজা করার জন্য।
রাজা দশরথের জন্য এটি ছিল একটি কঠিন সময়। তিনি দুঃখিত, কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য রামকে অযোধ্যা ছেড়ে 14 বছরের বনবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। রাম, যদিও শোকিত, কিন্তু রাজা দশরথের আদেশ মেনে নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অযোধ্যা ছেড়ে চলে যান। রামের সাথে তাঁর সঙ্গী হন তাঁর পত্নী সীতা এবং ভাই লক্ষ্মণ।
বনের মধ্যে রাম এবং তাঁর সঙ্গীরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, কিন্তু রাম কখনও তাঁর নৈতিক পথ থেকে বিচ্যুত হননি। একবার রাবণ, লঙ্কার রাজা, সীতাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। রাম তাঁর প্রেমিকার মুক্তির জন্য এক বিশাল যুদ্ধে লড়াই করেন। তাঁর সহায়ক হন হনুমান, নল-নীল, এবং অন্যান্য বন্ধুরা।
রাম তাঁর ধৈর্য্য, সাহস এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে রাবণকে পরাজিত করেন এবং সীতাকে উদ্ধার করেন। শেষে, তিনি অযোধ্যায় ফিরে আসেন, এবং সেখানে তাঁর রাজত্ব শুরু হয়। তাঁর শাসনকাল ছিল সুবর্ণ, যেখানে ন্যায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
রামের এই গল্প আমাদের শেখায় যে, সঠিক পথে চলতে হলে জীবনে অনেক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়, তবে যদি আমাদের ধৈর্য্য এবং সততা বজায় থাকে, তবে আমাদের বিজয় নিশ্চিত।