বড় স্পর্শকাতরতাময় একটা স্থান
যেখানে লিখা বাবার নাম
দেয়ালিখায় ঝুলানো সেই স্থান,
বড় নান্দনিক স্থান, আজ ম্রিয়মাণ!
আমার একটা অজানা অনুভূতির নাম!
ওখানে বাবা চির অম্লান
বাবা মোর চির উষ্ণ অনুভূতির নাম।
প্রভাতবিহানে সুমধুর তানে
প্রার্থনার সুর আহা! কি মধুর
উঠে আসতো কানে শ্রুতিমধুর তানে।
জাগিত ধরণী তবু তোমায় শুনি
স্বকরুণ রসে জায়নামাজে বসে
মাগিতে যে বর, হে বিধাতা মোর
করিও না পর আমার এই বাছা,
ছাড়িব না আশা দিল মোর কাসা
ব্যতিত এ মন করিবে রোধন
প্রতিজ্ঞায় চিহ্ন অসার এই দেহখানি।
যেখানেতে যাই খুঁজিয়া বেড়াই,
কোথা সেই সুর আজ বহুদূর
অচল প্রায় লোচনে ঘুরে ফিরে ক্ষনে
হেরিয়া সংসার মনে নাহি মানে।
১৭ জুলাই পায়নি তো ঠাঁই
গোধূলির বাতাসে কে জানি কে এসে
রুদ্ধ করেছিল বাবার শ্বাস,
দুহাজার বিশে কী জানি কি বিষে
বাবা মোর চলে গেলো
না ফেরার দেশে।
বিধাতার বুঝি খায়েস ছিল!
বাবাকে মোর চিনিয়ে নিলো
বাবার আশিষ হয়ে গেলো চিরতরে লীন।
মাঘের এই হিম শীতে বাবার উত্তরী হাতে
মুরিয়ে দিচ্ছি আমি তাই
গায়ের শীত তাড়াইতে গিয়ে
হৃদয়ে আগুন জ্বালাই।
মহাসমুদ্রের গভীরতায়,
জনসমুদ্রের জনাকীর্ণতায়,
নভোমণ্ডলের মহাশূন্যতায়,
সর্বত্রই খুঁজি আশা নাহি বুঝি
বিষাদ বাস্তব মেনে নিলাম তাই।