মহসিন ছোট বেলা থেকেই কঠোর পরিশ্রমী। পরিবারে বড় ছেলে হওয়ায়, সংসারের দায়িত্ব তার ওপর এসে পড়ে ছোটবেলাতেই। তার বাবা ছিলেন দিনমজুর, জীবিকার জন্য প্রতিদিন নতুন নতুন কাজ খুঁজতে হত। মা ছিলেন ঘরের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। দারিদ্র্যের মধ্যেও মহসিন চেষ্টা করেছিল পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার, কিন্তু সময়ের অভাবে সেটা সম্ভব হয়নি।
একদিন মহসিনের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সংসারের চাকা যেন থমকে দাঁড়ালো। মহসিন জানত, এই পরিস্থিতিতে তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। পড়াশোনা বাদ দিয়ে সে কাজে লেগে পড়ল। নানা ধরনের কাজ করতে শুরু করল – কখনো রিকশা চালানো, কখনো বা মাটি কাটার কাজ।
তবে মহসিন ক্খনো হাল ছাড়েনি। সে সব সময় একটাই স্বপ্ন দেখতো, একদিন এই কঠোর পরিশ্রমের ফল পাবে, তার পরিবারকে সুখের মুখ দেখাবে। দিনের পর দিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে চলতে চলতে তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। সে জানত, জীবনে লড়াই করে যেতে পারলেই সফলতা আসবে।
এরপর একদিন একটি কারখানায় কাজ করার সুযোগ পেল মহসিন। সে সেখানে তার কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও পরিশ্রম দেখিয়ে সকলের মন জয় করল। আস্তে আস্তে সে উন্নতি করতে থাকল, ছোটো থেকে বড় পদে তার অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকল। কয়েক বছরের মধ্যেই মহসিন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়।
তার কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মত্যাগের ফলে একসময় তার পরিবারও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেল। ছোট ভাই-বোনদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারলো, মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারল। মহসিন এর এই জীবন যুদ্ধের সংগ্রাম আর সাফল্যের কাহিনী যেন দারিদ্র্যকে হারানোর গল্প বলে।
মহসিন বুঝেছিল, জীবন যুদ্ধ কষ্টের, তবে এই যুদ্ধে যারা সাহস আর ধৈর্য নিয়ে লড়ে যায়, তারাই একদিন সফলতা ছুঁয়ে দেখতে পারে।মহসিন সবসময় নিজের ওপর আস্তা রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেত।