রাতের আকাশটা ছিল অদ্ভুতভাবে অন্ধকার। আজও লালিমার কোনো ছোঁয়া নেই চাঁদের গায়ে। নিশিরাতের গহীন অন্ধকারে একটা হালকা বাতাস বইছে, আর সেই বাতাসের ভেতর দিয়ে এক তরুণী ছুটে চলেছে। তাঁর নাম রূপা। এই ছোট্ট শহরের মানুষজন জানে রূপা সাহসী, কিন্তু আজ তাঁর চোখে এক অদ্ভুত আতঙ্কের ছাপ।
রূপার পিছু নিচ্ছে অদ্ভুত কিছু। সেটা মানুষ না অন্য কিছু, এই প্রশ্নটাই কেবল তাঁকে ভাবিয়ে তুলছে না, বরং সে অনুভব করছে, যেন তাঁর জীবন নির্ভর করছে এই মুহূর্তে দৌড়ানোর উপর। যতই সে দৌড়াচ্ছে, পায়ের তালে তালে হারিয়ে যাচ্ছে শহরের আলো। হঠাৎ করেই সে দেখে সামনে একটা পুরনো, বদ্ধদ্বার মন্দির। এ মন্দিরের কথা শহরের মানুষের মুখে বহুবার শুনেছে রূপা, কিন্তু সাহস করে কেউ কোনদিন কাছে যায়নি। লোকমুখে শোনা যায়, এ মন্দিরে এক রহস্যময় দুনিয়া অপেক্ষা করছে।
রূপা দাঁড়িয়ে পড়ে মন্দিরের সামনে। বাতাসের মধ্যেই যেন একটা চাপা গুঞ্জন ভেসে আসছে। কৌতূহল আর ভয়ে তাঁর শরীর কাঁপতে থাকে, কিন্তু সে অনুভব করে, তার সামনে অন্য কোনো উপায় নেই। পেছনের অদ্ভুত সত্ত্বা তার কাছে আসছে। নিঃশ্বাস আটকে সে মন্দিরের পুরনো দরজাটা ঠেলে খোলে।
দরজার ওপাশে সে দেখতে পায় এক ভিন্ন দুনিয়া—আলো আর ছায়ায় মিশ্রিত এমন এক অচেনা স্থান, যেখানে কোনো এক রহস্যময় আলো সবকিছুকে আলিঙ্গন করছে। সেই আলো যেন তাঁকে ডাকছে, তার ভেতরের সব শক্তি টেনে নিচ্ছে।
---
পরবর্তী অংশে কি হবে?
এই গল্পের মধ্যে রূপা কি করবে? এই আলো কি তাঁর জন্য বিপদের সংকেত, নাকি এক রহস্যময় রহস্য উদঘাটনের সূচনা? রূপা কি পারবে এই মায়াবী দুনিয়ার রহস্য উদঘাটন করতে, না কি হারিয়ে যাবে আলো ছায়ার ভেতর?