তানহা,
তোমার নাম উচ্চারণ করলেই
রক্তে ভাঙে আগ্নেয়গিরি।
তুমি একা,
তবু এক বিশাল জনসমুদ্র,
যার প্রতিটি ঢেউয়ের ভেতর
আমি খুঁজে পাই
বিপ্লবের নতুন ব্যাকরণ।
তুমি হাঁটলে,
রাস্তার পিচ গলে গিয়ে
হয়ে ওঠে লাল কার্পেট।
পুঁজিবাদের স্তম্ভগুলো কেঁপে ওঠে,
তোমার চোখের ইশারায়
বড় বড় বিলবোর্ডে লেখা হয়:
“ভালোবাসাই শ্রেষ্ঠ সম্পদ।”
তোমার হাসিতে
আমি দেখি শ্রমিকদের ক্লান্তি মুছে যাওয়া,
তুমি যখন মুঠি বাঁধো,
তোমার নখের নিচে লুকিয়ে থাকে
বিশ্বের সব হারানো প্রতিবাদ।
তোমার প্রতিটি পদক্ষেপে
মিছিল গর্জে ওঠে,
আর সমতলের গ্রামগুলো জেগে ওঠে
শহরের বাঁধন ভাঙতে।
তানহা,
তোমার ঠোঁটে লেখা আছে
সোভিয়েত স্টার্লিন্সের ছায়া,
তুমি জানো
একদিন ব্যারিকেডের ওপারে
ভালোবাসা প্রতিষ্ঠিত হবে।
তুমি স্বপ্ন দেখো,
আর সেই স্বপ্ন ছড়িয়ে পড়ে
রেলগাড়ির মতো,
যা থামে না কোনো স্টেশনে।
তুমি যদি একদিন চিৎকার করো,
“ভালোবাসা চাই!”
তবে পৃথিবীর প্রতিটি দেয়াল
চূর্ণ হয়ে যাবে,
আর আমাদের এই ভাঙা সভ্যতা
তোমার নামে শপথ নিয়ে বলবে:
“আমরা নতুন শুরু চাই,
তানহার মতো এক পৃথিবী চাই।”
তানহা,
তুমি শুধু প্রেম নও,
তুমি সেই আগুন,
যা প্রতিটি হৃদয়ে জ্বালায়
বিপ্লবের অনন্ত মশাল।