পোস্টস

সত্তাশ্রয়ী

অধ্যায়- বর্বর!

১৩ নভেম্বর ২০২৪

আব্দুছ ছামাদ আজাদ

একজন স্বামীকেও স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি, এটি শুধু কৃষ্টি কালচার নয় ধর্মেরও পরিপন্থী।

কি করলেন? প্রকাশ্যে তাঁদের গায়ে হাত তুললেন? এই দৃশ্য প্রাচীনকালের বর্বরতাকেও হার মানায়। এমন চেতনা লালনকারী কোন বোনের কলিজার টুকরো ভাই হতে পারে না, কোনো মায়ের আদর্শ সন্তান হতে পারে না।

পৈশাচিকতার এমন কোনো প্রকার বাকি রয়েছে কি?...

শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ পুরুষ আবু সাঈদের বোনের আহাজারি, বিক্ষিপ্তভাবে পরে থাকা শহীদি মর্যাদার ছাত্রদের ক্ষতবিক্ষত লাশ, প্রস্ফুটিত গোলাপের ন্যায় শৈশবের ঊষাকালেই ঝরে পরা শিশু, বিচিত্র রকমের ট্রাজেডির সূচনা! বাকি কিছু কি আর আছে? কেমনে পারলে শিশুদেরকে!!!

মমতাময়ী মায়ের আঁচল যে নারীর গায়ে শোভা পায়, কেমনে পারলে আঁচলটাকে দাঁত দিয়ে ছিড়ে ফেলতে? কেমনেই বা পারলে ওটাকে খামচে ধরতে?

আগে জানতাম পাক হানাদার আর ব্রিটিশ হানাদারদের মায়েরাই এমন সন্তান প্রসব করে, কিন্তু কেচুর গর্তে সাপের বাস এ তো চরম সত্য।

ঝড় তো থামলো, এই স্নিগ্ধ মনোরম পরিবেশে বিগত দিনের সেই বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের প্রতি মন কি অনুতপ্ত হয় না?

হোক আর না হউক এমন ঘৃন্য কাজ করে থাকলে সময়ের বিচারে তুমি মানুষ নয়, চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্ট।।

ভাগ্যক্রমে যারা বেঁচে গেলো তাঁদের বেশির ভাগ-ই সারা জীবন হুইল চেয়ারে সীমাবদ্ধ।

তাদের কি হবে?___

কি করলে?

যেখানে কেবল মানুষ না পুরো মনুষ্যত্বটাকে সংকটে ফেলে দিলে?

কতদিন করলে এই বেপরোয়া লড়াই?

কবে বুঝতে পারবে জীবনের মূল্য?

ঘটনাটি Gen-Z এর কাছে এক মহা ট্রাজেডির ইতিহাস। এই মারমুখী খেলায় তুমি হাজার বার মৃত্যুকে হারিয়েছো! কিন্তু মৃত্যুর এই আবশ্যকতা নেই যে তোমাকে হাজারবার হারাবে। আল্লাহ ছাড় দেয় ছেড়ে দে না।

ক্ষমতা তাঁর জন্যই জায়েজ হোক...

যিনি দুষ্টের দমন করবেন, তিনি শিষ্টের লালন করবেন।   ____________