প্রশ্ন: স্ত্রীর দূধ চোষা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ আছে কি?
-রাকিব ইসলাম ঢাকা থেকে।
ইসলামে স্ত্রীর দুধ পান করার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই, তবে ইসলামী শরীয়ত ও ফকীহগণ এ বিষয়ে কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সাধারণত, স্ত্রীর দুধ পান করা জায়েজ বা নিষিদ্ধ নয় বলে অনেকে মত দেন। এটি নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ নয়, তবে মাকরূহ (অপছন্দনীয়) হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ স্ত্রীর দুধ মূলত তার সন্তানের জন্য নির্ধারিত।
মুসলিম ফকীহগণ এই বিষয়ে সাধারণত মনে করেন, দুধ পান করা দ্বারা কোনো শারীরিক বা নৈতিক সমস্যা তৈরি না হলে এটি হারাম নয়। তবে দুধ পান করার ফলে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সম্পর্ক বা বন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো ফিকহি পরিবর্তন আসে না, অর্থাৎ এ কারণে কোনো মাহরাম সম্পর্ক তৈরি হয় না।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য একজন অভিজ্ঞ আলেম বা ইসলামী স্কলার থেকে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে অন্তরঙ্গতা এবং ভালোবাসা উত্সাহিত করা হয়েছে, তবে শরীয়তের নির্দিষ্ট সীমা মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। স্ত্রীর দুধ পান করার বিষয়টি শরীয়তে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ বা অনুমোদিত বলে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই। তবে অনেক ইসলামি পণ্ডিত ও ফকীহগণ এ বিষয়ে মত দিয়েছেন এবং বিভিন্ন হাদিস ও ফিকহের আলোকে এ বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করেছেন।
**বিভিন্ন মতামত:**
১. **ইসলামী পণ্ডিতদের অভিমত:** বেশিরভাগ ইসলামি পণ্ডিতরা মনে করেন, স্ত্রীর দুধ পান করা স্বাভাবিকভাবে মাকরূহ (অপছন্দনীয়)। এটি কোনো স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, স্ত্রীর দুধ তার সন্তানের জন্য নির্দিষ্ট, যা নবজাতকের পুষ্টির উৎস হিসেবে বিবেচিত। অতএব, স্ত্রীর দুধ পানের পরিবর্তে অন্য পন্থায় সম্পর্কের সৌহার্দ্য বজায় রাখতে উৎসাহ দেওয়া হয়।
২. **শরীয়তের পরিপ্রেক্ষিত:** স্ত্রীর দুধ পান করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাহরাম সম্পর্ক তৈরি হয় না, কারণ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির স্তন্যপান ইসলামে "রদা’আত" (মাতৃত্ব সম্পর্ক তৈরি করা) হিসাবে গণ্য হয় না। শিশুকালে স্তন্যপান করলে সন্তানের জন্য এক ধরনের মাহরাম সম্পর্ক তৈরি হয়, তবে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় স্ত্রীর দুধ পান করলে এ সম্পর্ক সৃষ্টি হয় না।
৩. **সামাজিক দিক:** কিছু পণ্ডিত মনে করেন যে স্ত্রীর দুধ পান করা পারিবারিক বন্ধনের সম্মান ক্ষুণ্ণ করতে পারে। তাই এ ধরনের আচরণকে অপছন্দ করা হয়েছে, যদিও এটি নিষিদ্ধ নয়।
৪. **নবজাতকের অধিকার:** স্ত্রী যদি গর্ভধারণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বা স্তন্যদান করছেন, তাহলে দুধ মূলত সন্তানের পুষ্টির জন্য সংরক্ষিত হওয়া উচিত। এই দৃষ্টিকোণ থেকেও স্ত্রীর দুধ পান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে আপনি আরও বিশদ পরামর্শ ও জ্ঞান লাভ করতে চাইলে একজন যোগ্য ইসলামিক আলেম বা স্কলারের কাছে গিয়ে তাদের মতামত নিতে পারেন।
প্রশ্ন:০২/ গোপ- নাঙ্গে চো ষা যাবে কি ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ আছে কি?
,:- সুরাইয়া আক্তার মীম (ময়মনসিংহ, ভালুকা)
ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা, এবং যত্নের বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়েছে। ইসলামিক শরীয়ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য বিশেষ কোনো সীমা আরোপ করেনি, বরং এটি তাদের ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়, যা তাদের পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতার প্রকাশ হতে পারে। তবে, কিছু নির্দিষ্ট বিষয় ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
**স্ত্রীর গোপনাঙ্গে চুম্বন বা চোষার বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা:**
১. **বেশিরভাগ পণ্ডিতের মতামত:** বেশিরভাগ ইসলামি পণ্ডিত এই বিষয়ে সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেননি, তবে এ বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকা দরকার। স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তাদের ব্যক্তিগত এবং এতে অতিমাত্রায় আলোচনা না করে পরস্পরের পরিপূর্ণ সম্মান ও সততার ভিত্তিতে আচরণ করা উত্সাহিত করা হয়।
২. **পবিত্রতা রক্ষা:** ইসলামে পবিত্রতার ওপর খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই কিছু পণ্ডিত মনে করেন, গোপনাঙ্গে চুম্বন বা মুখ ব্যবহারকে এড়িয়ে চলা উত্তম, কারণ এটি কিছু ক্ষেত্রে অপবিত্র হতে পারে। তবে, একে সরাসরি হারাম বলা হয়নি।
৩. **পরস্পর সম্মতির গুরুত্ব:** ইসলামে পরস্পরের সম্মতি এবং স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং এতে তাদের কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যা না হয়, তবে এর কোনো স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা নেই।
৪. **সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত দিক:** কিছু পণ্ডিত মনে করেন, এ ধরনের ঘনিষ্ঠতায় স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকতে পারে এবং একে এড়ানো উত্তম। তবে এটি সরাসরি ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ নয়।
**উপসংহার:**
ইসলামে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে মুখ ব্যবহার করার বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট হারাম ফতোয়া নেই, তবে এটি অপছন্দনীয় হিসেবে গণ্য হতে পারে এবং এ বিষয়ে পরস্পরের সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। ইসলামী শিক্ষা মতে, এটি সরাসরি নিষিদ্ধ নয়, তবে স্বাস্থ্যগত কারণে এ থেকে বিরত থাকতে উৎসাহ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শের জন্য কোনো যোগ্য ইসলামি আলেম বা স্কলারের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।