এইমুহূর্তে বাংলাদেশে পলিটিক্যাল কোনো আইকন নাই। Despotic শে'খ হা'সিনা ও তার পতিত পাবনদের দেশে আসবার আদৌ সুযোগ নাই। ভুলেভালে কেউ আসলেও তাদের সোজা কোর্টে যেতে হবে, আইদার মব ভায়োলেন্সের শিকারে পরিণত হতে হবে। এটা হবে তাদের কুকীর্তির জন্যই।
সব আছে দেশে। মন্ত্রী-মিনিস্টার, আমলা, পেশাজীবি, পলিটিশান; কিন্তু দেশটা ঠিক চলছে না। কোনো কিছুই ফাংশন করছে না। জিনিসের দাম কমে নাই, ফালতু সিন্ডিকেট ভাঙে নাই। ঘুষ দুর্নীতি ছিটেফোঁটাও বন্ধ হয় নাই। মহাসড়কে দ্রুতযানের সাথে ব্যাটারিরিকশার টক্কর কেউ থামাতে পারে নাই। আগের আমলের একটা দুর্নীতিবাজকে ধরেও শাস্তি নিশ্চিত করা যায় নাই। বাস্তবসম্মত সংস্কারের আলাপ এখনো কথার কথা।
বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরায়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়াকে গৌরবময় রাষ্ট্রীয় সাফল্য বলে না। এমনটা কেন হচ্ছে? জুলাই-অগাস্টের মতো কোথাও আর এখন প্রেশার নাই?
আসলে সাধারণ মানুষ যাকে সামনে রেখে তাদের স্বপ্ন বুনন করবে -এমন কোনো প্রতীক দেশে নাই। নাই মানে নাই। নন গভমেন্ট অর্গানাইজেশনে সফল মানুষ গভমেন্টে সফল হবেনই এমন দিব্যি কোথাও কেউ দিয়ে রাখেনি।
আওয়ামী লীগের অবর্তমানে বিএনপি'র সামনে অবারিত সুযোগ। আওয়ামী লীগের মতো করে চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজি, বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার দখল, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, মারধোর করা বিএনপির কাজ না। তাদের বুঝতে হবে অর্থনৈতিক লোভ এবং লাভ সংক্রান্ত এইসব হাবিজাবি কাজে ব্যস্ত রেখে ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে থাকারা Depoliticization তথা বিরাজনীতিকরণের দিকে তাদের মতিগতি পাল্টাতে পারে। এই জায়গাটায় ঠেকা দিতে একজন তরুণ পলিটিক্যাল আইকনের দরকার। এইমুহূর্তে কার অমন মনস্তাত্ত্বিক শক্তি আছে যিনি ডাকলে শত মানুষ ঢাল হয়ে লাখো পাওয়ারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে?
আপনারা ভেবে বলতে পারেন কে আসলে তেমনটা করতে পারে!
আমরা বলব অ্যাজ সুন অ্যাজ পজিবল তারেক জিয়াকে দেশে ফিরে এসে সবার আগে সশরীরে তাঁর মায়ের খোঁজ নিতে হবে। আইনের মুখোমুখি হয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সাফসুতরো হয়ে রাস্তায় দাঁড়ানোর মতো ইমেজ যখন ধরা দিবে, তিনিই পারবেন পাবলিককে উজ্জীবিত করতে।
গণতন্ত্র বহুত দূর কি বাত! আপাতত রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে হলে তারেক জিয়াকে লণ্ডনের স্বেচ্ছানির্বাসন ত্যাগ করতে হবে। এটা কেন বলছি, আগামী কয়েক মাসেই তা সবাই টের পাবেন।
আমরা বারবার বলব
ফ্যা'সিবাদের পরিবর্তে বিরাজনীতিকরণ কোনোমতেই উত্তম পন্থা নয়। আমাদের সবার সমস্বর আরাধ্য হতে হবে গণতন্ত্র। কেবলই বিশুদ্ধ গণতন্ত্র।🫵
লেখক: সাংবাদিক
১২ নভেম্বর ২০২৪