লেখক হিসেবে জন্মানোর এই এক স্বাদ। কখনো মন খারাপ করে চুপ থাকতে হয়না। মন খারাপ হলেও লিখতে ইচ্ছে হয়। মন ভালো থাকলেও লিখতে ইচ্ছে হয়। মনের মাঝে কথার কোনো অভাব হয়না। অভাব হয় সেগুলো শোনার মতো লোকের। লেখক খুব আগ্রহ নিয়ে বলতে চায় কিন্তু তা কেউ গ্রহণ করতে চায় না। ব্যাস্ত নগরীর লোকেদের এই এক সমস্যা। তারা স্বার্থ ছাড়া অন্যের কথা শুনে নিজের সময় অপচয় করতে চায় না। আর কুৎসিততম লেখকদের কথা সব অহেতুক লাগে ব্যাস্ত নগরীর লোকেদের কাছে। তখনই শুরু হয় কথাগুলোকে লেখায় আবদ্ধ করা। কোনো লেখকই শুরুর দিকে জানেনা সে লেখক হবে। বা তার মধ্যে যে একজন লেখক ঘুমোচ্ছে। শুরুতে সে থাকে একজন কথক! সেই কথক যখন দেখতে পায় এই ব্যাস্ত নগরীতে কেউ কারো জন্য সময় ব্যয় করেনা। সবাই ছোটে নিজের স্বার্থে। তখন তার মনের মাঝে কথাগুলো জমতে থাকে। সে বলার মতো কাউকে খুজে পায় না। এক পর্যায়ে দেখা যায় জমতে থাকা কথার পরিমান জমতে জমতে পাহাড়সম মতো হয়ে গেছে। তখন সে বাধ্য হয়ে সেগুলোকে লিখতে শুরু করে। এরপর দেখা যায় তার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা সেই লেখক সত্তা জাগ্রত হয়ে যায়। এরপর থেকে সে হয়ে যায় লেখক। এরপর থেকে সে শুধুই লিখতে থাকে। নিজের আবেগগুলোকে বিভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে বিভিন্নভাবে! রূপক ভাবে ছড়িয়ে দেয় নিজের কথা। প্রথমে ডায়েরিতে। এরপর ফোনের নোটপ্যাডে। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
- সাকু মিয়া💚