ইউনিভার্সিটি কাউকে ম্যানার শিখায় না, ইভে ন শিখাবেও না। আমি মনে করি একজন ব্যক্তি হিসেবে তার পারিবারিক শিক্ষাটাই মূখ্য। কে কোন ফ্যামিলি থেকে উঠে এসেছে সেটা বুঝা যাবে তার এটিটিউট, ফ্রেন্ডদের সাথে কো- অপারেট করার মন মানসিকতা দেখে। আর ম্যাচিউরিটি হলো আমাদের জীবনের এমন একটা ফেজ সেটা একজন ছেলে/ মেয়ে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলে অটোমেটিক চলে আসে। কাউকে জোর করে ম্যাচিউরিটি শিখানো যায় না। ইউনিভার্সিটির একটা স্টুডেন্ট পার্সোনালিটি সম্পন্ন মানুষ হবে এটা কি স্বাভাবিক নয়? সেটা যদি ঢাকা ইউনিভার্সিটি হয় তাহলে তো বলা বাহুল্য। আমরা এখনো ম্যাচিউর হতে পারি নাই কিন্তু পার্সোনালিটি সম্পন্ন মানুষ হওয়ার ট্রাই করতে পারি, এতে অটোমেটিক ম্যাচিউরিটি চলে আসবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে, পারসোনালিটি সম্পন্ন মানুষকে যথেষ্ট সম্মান করি। একজন মানুষের পারসোনালিটি তার পুরো ব্যাকগ্রাউন্ড সবার সামনে তুলে ধরতে সাহায্য করে। আল্লাহর কাছে আমি কৃতজ্ঞ এই কারণে যে তিনি আমাকে একটা অসম্ভব গুণ দিয়েছেন, সেটা হলো, আমি মানুষের সাথে কিছুক্ষণ কথা বললে তার ব্যাকগ্রাউন্ড আন্দাজ করতে পারি। এবং পরে দেখি আমি যেটা মনে করি সেটা প্রায় ১০০ ভাগ সত্য না হলেও ৯০-৯৫ ভাগ সত্য।
পরিশেষে একটাই কথা, আমরা যেনো ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ হতে পারি সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, তবেই জীবন উপভোগ করতে পারবো।
ধন্যবাদ সবাইকে।