পৃথিবীটা আসলে যাচ্ছে কোনদিকে?।
স্কুল কলেজের ফ্রি মিক্সিঙের চেয়ে এখন মাদ্রাসার ফ্রি মিক্সিং বেশি ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে কে কথা বলবে?
তাহলে তথাকথিত মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা ইসলাম ধর্মকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?
ফ্রেন্ডলিস্টের এক হুজুর সেদিন পোস্ট করলো- শুভ জন্মদিন বান্ধবী অমুক, ঈদ মিলাদ সাঈদ, বারাক আল্লাহু ফি আমরিক।
সেখানে সেই মেয়ে বান্ধবী কমেন্ট করলো জাজাকাল্লাহ খাইরান।
এরপর সেই কমেন্ট বক্সে দেখলাম আরও পাচটা মেয়ে এবং ছেলে সেই মেয়েটাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এরমধ্যে কেউ কেউ আবার বন্ধুসুলভ ভাবে পিঞ্চ মেরে বলছে কি মাম্মাহ? কাহিনি কি!
এসব দেখে আমার প্রচুর কৌতুহল হলো।
আমি সেই হুজুর সাহেবের প্রোফাইলে ঢুকলাম। ঢুকে দেখি ওমা! হুজুর তার প্রোফাইলে বিভিন্ন রকমের পোস্ট করে।
এর মধ্যে একটা ছিলো এরকম- হজরত মুহাম্মদ (সা) ও ওনার বিবির খুনসুটি নিয়ে কিছু লেখা। সেখানে দেখি আরও একঝাক মেয়ে।
এরপর দেখি লিপস্টিক হুজুরের বয়ান শেয়ার করা - যদি কোনো মেয়েকে আপনার ভালোলাগে। দ্যাটস এনাফ ফর ইউ। এরপর দেখি সে নিজে লিপস্টিক টাইপ ফিলটার লাগিয়ে এরপর গজলে লিপ্সিং করছে। অঙ্গভঙ্গি একদম কিউট সাজা নিব্বি মেয়েদের মতো।
এরপর আমার কৌতুহল আরও বৃদ্ধি পেলো। এরপর দেখলাম তারা মাদ্রাসা শিক্ষার বাইরে যারা প্র্যাক্টিসিং মুসলিম আছে তাদের সহ স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েদের রোস্ট টাইপ পোস্ট দিচ্ছে।
এর মাঝে একদিন দেখি গার্লফ্রেন্ড এর ছবি স্টোরিতে ।
প্রায় পোস্টে আদর্শ স্ত্রী নিয়ে লেখা। আর গার্লফ্রেন্ড কে ট্যাগ দেয়া। সেখানে আবার এর ফ্রেন্ডলিস্টের মানুষজন একে সিমপ্যাথি দিচ্ছে।
পৃথিবীটা আসলে যাচ্ছে কোনদিকে?।
স্কুল কলেজের ফ্রি মিক্সিঙের চেয়ে এখন মাদ্রাসার ফ্রি মিক্সিং বেশি ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে কে কথা বলবে? আমরা যারা ভন্ড তাদের হিসাব আলাদা। আমরা নিজেদের দোশ শিকার করি। এবং প্রানপনে চেষ্টা করে যাই, ধর্মের কোনো ক্ষতি না করতে। অথচ এই নামধারী হুজুর যারা আছে, এরা ওপরে ইসলামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভেতরে নষ্টামি করছে। এরা আরও সিম্প্যাথি পাচ্ছে। মানুষ এদের মাথায় তুলে নাচতেছে। এদের কিছু বললে মানুষ কমেন্টের মাঝে এমন কঠিন কথা শোনাবে আপনাকে আপনার মনে হবে আপনি একটা বিজ্ঞ আলেমের বিরুদ্ধে কথা বলে ফেলছেন। এরকম আমার সাথে একদিন হয়েছিলো। আমি সেই লোকের মতই আরেক লোককে একদিন সামনাসামনি জিজ্ঞেস করি। জবাবে সে আমাকে ধর্মীয় জ্ঞান দেয়। আমি তাকে বলি : ভাই দয়া করে এগুলো নিজে মানার চেষ্টা করেন। একথা বলার পর সে তর্ক শুরু করে দেয়। এরপর আশপাশের কিছু লোক দৌরে আসে। আর এসে আমাকে আরও জ্ঞান দেয়। কথার ধরন এমন ছিলো যে আমি কোনো বিজ্ঞ আলেমের বিরুদ্ধে কথা বলে ফেলছি। আমার ঈমান শেষ আরও কতো কি ।
এরা একদিন ইসলামকে সফলভাবে ধ্বংস করে দেবে। যদি এদের না আটকানো যায়। কয়েকবছর পর এরা আরও আপডেট হবে।
এসব নিয়ে কথা বলার কোনো লোক নেই। সবাই পরে আছে স্কুল কলেজের ফ্রি মিক্সিং নিয়ে। অথচ ইসলামের মূল কারখানা মাদ্রাসা এখন এসব সমস্যায় আক্রান্ত। এটার কথা কেউ তুলতেছে না। মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরা এখন প্রেম করে। মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরা এখন টিকটক বানায়। এসব নিয়ে কথা বললে অনেক মানুষ চটে যায়। তারা বলে- মাদ্রাসা নিয়ে তোমাদের জ্বলে কেনো। ব্যাপারটা আমার কাছে এমন লাগে যে স্কুলে ক্যাপটেন নির্বাচনে ভোট চুরি হচ্ছে আবার দেশের নির্বাচনেও হচ্ছে। কিন্তু জনতা স্কুলের টা নিয়ে পরে আছে। কিন্তু নির্বাচনের টাকে এভয়েড করছে।
ফেসবুকে কিছু গ্রুপ আছে। দ্বীনি ভাইবোনদের মিলনমেলা। মোল্লাদের মিলনমেলা এ জাতীয়। এগুলোয় গেলে দেখতে পারবেন।