দুই হাজার চব্বিশ সালের আগস্ট মাসের তিন তারিখে যে মানুষ তার বোনের সাথে কথা বলে ঘুমিয়েছেন তার দুই হাজার চব্বিশ সালের আগস্ট মাসের চার তারিখের দিনটা কিভাবে শুরু হয়েছিলো এ নিয়ে কল্পনা করছিলাম দুই হাজার চব্বিশ সালের পনেরো নভেম্বর শনিবার রাত নয়টা পনেরোতে সেই মানুষটার বোনের মুফাসসিল ইসলামের সাথে করা লাইভ দেখতে দেখতে।
ঘটনা এমন বড় কিছু না অনেকের দৃষ্টিতে এবং বেশিরভাগ ব্যক্তি নানা অজুহাতে এ ঘটনাকে হালালও করে ফেলেছেন অনেকটা।
জুলাই এনার্কির ধারাবাহিকতায় আগস্টের চার তারিখে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় স্থানীয় জামাত-শিবির-বিএনপি-হিজবুত তাহরি সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ করে।তারা থানায় আগুন দেয়।সব কিছু ভাঙচুর করে,অস্ত্র লুট করে এবং থানার ছত্রিশ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে সতেরোজনকে কুপিয়ে,পিটিয়ে,পুড়িয়ে,ফাঁসীতে ঝুলিয়ে,পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে।
ঐ থানার ওসির নাম হলো আব্দুর রাজ্জাক।তার সবার ছোট বোনের নাম মাউনজেরা আলিফ।আলিফের লাইভ শুনছিলাম মুফাসসিলের সাথে।আলিফকে মুফাসসিল প্রশ্ন করে আলিফ শতভাগ নিশ্চিত কি না আব্দুর রাজ্জাক সৎ পুলিশ অফিসার ছিলেন কি না।ধরে নিলাম আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহকর্মীরা কেউই সৎ ছিলেন না।কারণ বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত।এখানে সৎ হয়ে বাঁচা দায়।দুর্নীতি বা অসততার অভিযোগে কাউকে কেউ মেরে ফেলার অধিকার পায় কি না তা আকাশে বসা ঈশ্বর হয়তো ভালো জানেন।
রাজ্জাক তিন আগস্ট রাতেও বোনের সাথে কথা বলেছেন।চার আগস্ট সকাল থেকে তার ভাই বোনেরা আর তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।সুদর্শন আব্দুর রাজ্জাককে এমনভবে হত্যা করা হয় যে তার গলার কাছে ছিল পোড়া,চাপাতির কোপে কোমর ছিল বিচ্ছিন্ন,বাম হাত ডান হাত ছিল ভাঙা,দীর্ঘক্ষণ পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে রাখার কারণে মৃতদেহ ছিল ফোলা বিকৃত।
আব্দুর রাজ্জাকের মা চার বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী,পিতা গত হয়েছেন পাঁচ বছর আগে।পুরো পরিবারের অভিভাবক হিসেবে তিনিই ছিলেন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
আমাদের অনেক না কি ছাত্র জনতা মারা গিয়েছে ইউনুসের সূক্ষ্ম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে।সেই সংখ্যা কোনভাবেই তারা তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণসহ উপস্থাপন করেন না।তারা ব্যস্ত গ্রাফিতি প্রদর্শনে,কার্টুন প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করাতে,জুলাই এনার্কি নিয়ে বই লেখাতে,ট্রুডো ও বাইডেনের হাতে দৃকের শহীদুলের করা বই তুলে দিতে।তাদের এত রসদ,এত রিসোর্স কিন্তু তারা কোন প্রকৃত তালিকা,সংখ্যা জনগণের সামনে দিতে অনিচ্ছুক কারণ আহতরা সামনে এলে বিচারের দাবী নিয়ে,নিহতদের স্বজনরা সামনে এলে প্রকাশ পেয়ে যাবে এখানে বিগত সরকারের পুলিশের ভূমিকা কী;আর ইউনূসের-আসিফ নজরুলের-তথাকথিত ছাত্রদের-বিদেশী শক্তির-জামায়াত শিবির হিজবুতের-জঙ্গীদের-দেশের তাবত সুশীলদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা দানবদের ভূমিকা কি।
বহু কষ্টে আমাদের মূক ও বধির সংঘের প্রেসিডেন্ট মিডিয়া হাউজগুলো আমাদের নিরলস চিৎকারে,চুয়াল্লিশজন নিহত পুলিশের তালিকা স্বীকার করেছে।পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সার্ভারে তালিকা আছে অন্য নিহতদেরও।
আলিফের মতো কত বোন অবাক বিস্ময়ে দেখছে দেশের সম্পদ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করা এনার্কিস্টরা, নিজেদের স্নাইপার দিয়ে গুলি খেয়ে মরা ব্যক্তিরা শহীদ খেতাব নিয়ে প্রতিদিন পূজিত হচ্ছে,অন্যদিকে রাষ্ট্রের জনগণের জানমাল রক্ষার কাজে নিয়োজিত আব্দুর রাজ্জাকেরা চব্বিশ বছর দেশকে ইউনিফর্ম পরে সেবা দেয়ার সময় ডিউটিরত থেকে নৃশংস হত্যার শিকার হয়েও পাচ্ছে ফরহাদ মজহার,মাহমুদুর রহমানদের প্ররোচনায় অহেতুক ঘৃণা;শহীদ খেতাব তো দূরে থাক।না ক্ষতিপূরণ,না বিচার কোনটাই আব্দুর রাজ্জাকেরা পায়নি।
সেনাবাহিনী দিয়ে দেশের সার্বিক আইন শৃংখলা কোনকালে রক্ষা করা যায়নি,এখনো যাচ্ছে না।শত পুলিশের নিয়োগ বাতিল করে,সতেরো বছর আগে কোন পদে ভাইভাতে বা ফাইনাল সিলেকশনে বাদ পড়েছিলো,তার জামায়াত শিবির হিজবুতের প্রতি ভালোবাসা আছে কি না তা বিবেচনায় এনে কোন প্রশিক্ষণ ছাড়া এখন পুলিশ বাহিনীতে যুক্ত করলেই সে চ্যালচ্যালাইয়া সার্ভিস দিবে যারা ভাবছেন তারা ডিরেক্ট সার্কাস পার্টির সদস্য ছাড়া আর কিছু না।
আমাদের ঢাকা দখলকারী দানবরা যা বুঝাচ্ছে আপনাদের যে পূর্বের সরকার বিরাট হত্যাফত্যা চালিয়েছে তারা গাজী টায়ারে পোড়া দুইশ মানুষের হিসাব,আমাদের পুলিশ ভাইদের মারার হিসাবটাও ঐ হত্যায় জুড়ে দিয়েন।যুক্ত করেন প্রতিদিন উল্লাস করে মেরে ফেলা হিন্দুদের নাম,লীগের নেতাকর্মীর নাম।জামা'য়াত-শি'বির-হি'জবুত এবং তাদের কোলে চড়া বিএনপির একাংশ মানুষ না আমরা জানি,আপনারা তো মানুষ ছিলেন-সব মৃতের তালিকা শেষ পর্যন্ত মানুষেরই হয়।যাকে কুপিয়েছেন,ফাঁসীতে ঝুলিয়েছেন,পানিতে চুবিয়েছেন,পুড়িয়েছেন হাত পা সব ভেঙে দিয়েছেন,কোমর আলাদা করে ফেলেছেন তার দোষ সে জ'ঙ্গী হতে পারেনি,সে পুলিশ হয়ে বেঁচেছে পেশাগত জীবনের চব্বিশটি বছর।
যারা যারা জুলাই পুনঃমঞ্চস্থ করার জিকির তোলেন,রিকন্সিলিয়েশন,রিডিম্পশন,পালনবাদ,বিল্পব,অভ্যুত্থান,নদীয়ার ইসলাম,জুলাই গণপরিসর এসব আব্জাব শব্দ ব্যবহার করে জনগণকে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে যাচ্ছেন মনে রাখবেন সহস্র প্রাণ যা পরিকল্পিতভাবে কেড়ে নিয়েছেন তারা পুলিশ এ অজুহাতে,তারা গাজী টায়ার লীগের কারখানা তাই সেখানে দুইশ মানু্ষ পুড়িয়ে মারা জায়েজ আছে ভাবেন তারা যেই রিএনেক্টের কথা বলেন এসব প্রাণের হায় আপনাদের একজনকেও ছাড়বে না।মাদারনেচার ছেড়ে দেয়,ছাড় দেয় না।
👇
প্রয়োজনীয় লিংক ফিকশন ফ্যাক্টরির লেখায় দেয়া থাকলো।
১.ওসি আব্দুর রাজ্জাকের স্বজনেরা বিচার চান
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/gnghzlt4g2
২.এনায়েতপুর থানায় যেভাবে হত্যা করা হয়
https://skhobor.com/news/115780
৩.সমন্বয়ক হাসিবের স্বীকারোক্তি
https://youtube.com/watch?v=PELGINo4xhY&si=5DaWtSBdThAd1MDl
৪.যমুনা টিভির রিপোর্ট https://youtube.com/watch?v=iAmu_en962s&si=mofY3uTOO8msRru9
৫.সহকর্মী হত্যার দায়মুক্তি নিয়ে হতাশা
https://www.banglatribune.com/others/868167/%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E2%80%98%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E2%80%99-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87
৬.পুলিশ হত্যার ভিডিও এবং ছবির আগের গুগল ড্রাইভের লিংক পর্যন্ত রিপোর্ট করেছে পিশাচেরা,নতুন করে আবার লিংক দেয়া হলো-
https://drive.google.com/drive/folders/1oKLS2qb6Q2BU-kHaqdPo0OoUHGGiUA9e?usp=sharing
৭.মুফাসসিলের সাথে আলিফের লাইভ
https://www.youtube.com/live/SSioLNkoR2I?si=BBM3wMcQI3DBHyBv