Posts

চিন্তা

আমরা কেন উলঙ্গ হলাম?

November 20, 2024

মনিম হাসান

36
View

#যারা_ধর্ম_মানেন_না_তারা_এড়িয়ে_যেতে_পারেন

#আদি_মানব-যাদের ভাষা ছিল না, পোশাক ছিল না, আগুন জ্বালাতে পারত না এমন মানুষকে বুঝিয়েছি।

আল্লাহ যখন আদম আঃ কে দুনিয়াতে পাঠালেন, তখন তো তাকে সব রকম জ্ঞান দিয়েই আল্লাহ পাঠাইছেন, তার থেকে যে মানবজাতির সূচনা শুরু হল, তারা ত অবশ্যই পোষাক আশাকে সব কিছুতে সভ্য ছিল। এরপর যদি বংশ পরম্পরা ধরে হিসাব করা হয়, তাহলে সেটা ধরতে পারা প্রায় অসম্ভব, কারন তখন অনেক মানুষের জন্ম হয়, আর তখন ইতিহাস লেখার মত কেউ ছিল না বলেই মনে হয়। কিন্ত মুসা আঃ এর সময় আল্লাহ মানুষ কে মান্না সালাহ নামে খাবার দিত, তার মানে তখন মানুষের কোন খাদ্য অভাব ছিল না, এবং তারা সভ্য ছিল। এরপরে মানুষ কে আল্লাহ চাষ বাস করে খাবার জন্য দিলেন ।

তাহলে যদি হিসাব করি, দেখা যাবে দুই একটা একটু ঝামেলা হবে কিন্ত মুসা নবীর পর থেকে পুরা বংশ পরম্পরা ইতিহাস আছে । আবার নুহ আঃ এর সময় প্লাবন হয়ে মুমিন রা বাদে বাকি সবাই মারা গেছে, এখন এই প্লাবন পুরা দুনিয়া জুড়েই হয়েছিল, শাব্দিক অর্থে বলতে গেলে পৃথিবীর একটা নতুন জন্মের মত হল। অর্থাৎ নুহ আঃ এর পূর্বে যদি কোন মানুষ দল ছুট হয়ে সভ্যতার বাইরে গিয়ে থাকে তাহলে তারাও মারা গেছে। মোট কথা ধর্মীয় দিক বিবেচনা করলে , কোথাও আদি মানব , যাদের ভাষা পর্যন্ত ছিল না, এমন মানব জাতির ইতিহাস পাওয়া যাবে না।

এখন আমার প্রশ্ন হল, মুসা আঃ এর যুগে মানুষ মুর্তি পুজা শুরু করল, তারা অন্য একটা ধর্ম বানায়ে নিল, কিন্তু তারা ত সভ্য ছিল, তাদের ভাষা ছিল, তারা আগুন জ্বালাতে পারত। তারা পোশাক ও পরত। কিন্তু এই যে গুহা মানব, বা আদি মানব, যাদের ভাষা ছিল না, পোশাক ছিল না, আগুন জ্বালাতে পারত না, তারা কই থেকে আসল ? তারা কিভাবে কখন সভ্য জাতি থেকে দলছুট গুহায় বাস করা শুরু করল, এইটা কিন্ত তেমন কোন ইতিহাসে নাই । স্বাভাবিকভাবে ইতিহাস যখন বর্ননা করা হয়, তখন কিন্তু ধর্মের কথা বাদ দিলে, মনে হবে যে মানুষ আদিতে ভাষাহীন, পোশাক হীন ছিল। কিন্তু কোথাও না কোথাও অবশ্যই সভ্য জাতি থাকার কথা। কারন কুর-আন হাদিস মতে এমন কোন জাতি নাই, যাদের উপর নবী-রাসুল প্রেরন করা হই নাই। তাহলে কি এই অসভ্য জাতি, তারা আসলেই কোন ভাবে দলছুট হয়ে গেছিল ?

তাহলে আমরা বলতে পারি আদম আঃ থেকে এখন পর্যন্ত অবশ্যই একটা সভ্য জাতি আছে, বা ছিল। কিন্ত এই সভ্য জাতির যে ধারা এইটা কিন্ত কোথাও বর্ননা নাই ধর্মীয় বর্ননা ছাড়া। আর এইখানে আমি অবশ্যই কুর-আন হাদিসকেই সঠিক বলে মানি ।

মানব ইতিহাস বর্ননা করলে দেখা যাবে, সবাই বলেছে শুধু গুহা মানব, যারা কথা বলতে জানত না, পোশাক ছিল না, এই রকম আদি মানবের কথা। অথচ ধর্মীয় দিক বিবেচনা করলে কিন্তু কোথাও এমন হবার কথা না, যারা কথা বলতে পারত, পোশাক ছিল না, কাচা মাংস খেতে এমন কোন ইতিহাস কোন ধর্মেই নাই। এখন আমার ধারনা, যারা এই আদি মানবের ইতিহাস রচনা করছে তারা, খুব সুচতুর ভাবে এড়িয়ে গেছে সভ্য মানুষের কথা, কারন এই সভ্য জাতি, তারা অবশ্যই মুসলিম হবার কথা। (বিঃদ্রঃ এই সভ্য জাতিরই জ্ঞান বিজ্ঞানের সব এগিয়ে থাকার কথা, তাহলে তাদের ইতিহাস তাদেরই লেখার কথা ছিল, আর তারা কেন নিজেদের ইতিহাস বাদ দিয়ে আদি মানবের ইতিহাস বর্ননা করবে? )। আর না হলে আমরা শুধু এই আদি মানবের ইতিহাস টাই পেয়েছি, শুধু ইতিহাসের ছোট একটা অংশ হিসাবে। কেন এই সভ্য জাতিই নিজেদের ইতিহাস ধরে রাখতে পারল না, কেনই বা মাঝখানে এই আদি মানব চলে আসল।

স্বাভাবিক ভাবে যদি আদি মানবের ইতিহাস থেকে মানব সৃষ্টি কল্পনা করি, তাহলে ত আদম আঃ যে প্রথম মানব, এইটা অস্বীকার করা হয়ে যাবে (নাউজুবিল্লাহ)। আর একটা ধরে নিতে পারি, যে একটা সময় সব মানুষ অসভ্য হয়ে তারাই আদি মানুষ হয়ে গেছিল, এরপর তারা ধীরে ধীরে সভ্য হয়ছে, তাহলে এইটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরাট একটা ঘটনা হত, যা হয়ত আল্লাহ কুর-আনে উল্লেখ করতেন(আল্লাহ ভাল জানেন)। কিন্তু কুর-আনে কিন্তু কোথাও এমন কোন মানুষের কথা বলা হই নাই, যারা পোশাক পরতে জানত না, খাবার তৈরি করতে পারত না, এমন কোন জাতির কথা উল্লেখ আছে বলে আমার মনে হয় না।

আদি মানবের ইতিহাস অবশ্যই সত্য, মানুষ একটা সময় বিভিন্ন দলে দলে বিভক্ত হয়ে যায়, এরপর তারা নতুন নতুন সংস্কৃতি, ভাষা আবিস্কার করে । কিন্তু একই সাথে অবশ্যই মৌলিক যে মানব জাতি, যার শুরু হয়েছে আদম আঃ হতে, তাদের কথা কেন ইতিহাসে নাই (ধর্ম গ্রন্থ ছাড়া যে ইতিহাস)? এই জাতি যে শুরু থেকেই সভ্য ছিল তার একটা বড় প্রমাণ হল আরবি ভাষা। আদম আঃ এর ভাষা ছিল আরবি, আর আরবি এখন পর্যন্ত আছে আর কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। তাহলে সবাই যদি আদি মানব হয়ে যেত, ভাষাহীন হয়ে যেত, তাহলে আরবি ভাষাও নাই হয়ে যেত।

Comments

    Please login to post comment. Login