মানুষ সবসময় এমন চিন্তা নিয়ে থাকে যে, তারা মনে করে তাদের চারপাশের মানুষগুলো কিভাবে কিভাবে যেন সবকিছুতেই ভয়াবহ রকমের সফল! ক্লাসে পরীক্ষায় প্রথম হচ্ছে, দৌড় প্রতিযোগিতায় সবার আগে ফিনিশ লাইনে তারা, বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় তাদের প্রজেক্ট পুরস্কার জিতছে- তুমি নখ কামড়েভাবছো
একটা মানুষের সব দিকে এত প্রতিভার ছড়াছড়ি কীভবে হয়? আমাদের আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী আন্টিরা আবার এককাঠি সরেস-“ও যেই চালের ভাত খায়, তুমিও সেই চালের ভাত খাও,
ও পারলে তুমি পারো না ক্যান?” এইসব কথায় কখনো মন খারাপ করার কিছু নেই। তুমি জানো তোমার কী কী প্রতিভা আছে এবং সেটা দিয়ে একদিন পৃথিবী বিজয় করে ফেলা সম্ভব।পরীক্ষার খাতায় কম মার্কস পাওয়া
দিয়ে আসলে কিছু আসে যায় না। কখনো হীনম্মন্যতায় ভুগবে না, ভুগে কি আদৌ কোন লাভ হয়? আত্মবিশ্বাস আর আত্মমর্যাদাটুকু ধরে রাখতে পারলে জীবনে আর কিছু লাগে না।
মনে রেখো মানুষ কষ্ট পেলে অন্ধকারে যায়, কেন জানো? কারণ অন্ধকারে মানুষ নিজের আলো দেখতে পায়। পিছলে পড়া মানে পিছিয়ে পড়া নয়, বিফল হওয়া নয়, নিজেকে খুঁজে পাওয়া। যে নিজের আলো দেখতে পায়,
সে অন্ধকারেও হাটতে পারে। সফলতা অর্জনে নিজের উপর বিশ্বাস রাখাটা জরুরি। তার সাথে প্রয়োজন উদ্দেশ্য স্থির করা। উদ্দেশ্যহীন ব্যক্তি কখনো পথ খুঁজে পায় না, উদ্দেশ্য স্থিরকারী কখনো পথ হারায় না। আর মনে রেখো জীবনে যা কিছু করোনা কেন, করার আগে আল্লাহর উপর ভরসা আর নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রেখেই করো।
তাহলেই সফলতা আসবে। এ সফলতা অর্জনে যদি পিছলে যাও তব কবু ভয় পেও না। ভয় মানুষকে তার সফলতা
এনে দেয় না বরং দুর্বল করে দেয়। আর দুর্বল হওয়া ব্যক্তি কখনো সফলতার আলো দেখতে পায় না। এ মহৎ অর্জনের জন্য প্রয়োজন আল্লাহর উপর ঈমান, আত্মবিশ্বাস, নিজেকে জানা, নিজেকে বুঝা, নিজের আলো খোঁজা।
এসব কিছু যদি তোমার মাঝে থাকে তবেই তোমার সফলতা সুনিশ্চিত।