২০২৪ সালের বেইলি গিফোর্ড প্রাইজ জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান লেখক রিচার্ড ফ্লানাগান। তিনি পরীক্ষামূলক স্মৃতিকথা 'কোশ্চেন সেভেন' এর জন্য ননফিকশনের ক্ষেত্রে দেওয়া বিশ্ব সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ এই পুরস্কার পেলেন। এর ফলে বেইলি গিফোর্ড এবং বুকার প্রাইজজয়ী প্রথম লেখক হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিলেন তিনি।
১৯ নভেম্বর লন্ডনে জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে বেইলি গিফোর্ড প্রাইজ বিজয়ী লেখকের নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার হিসেবে ফ্লানাগান পাচ্ছেন ৫০ হাজার পাউন্ড। তবে তিনি জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এই পুরস্কারের পৃষ্ঠপোষকতাকারী প্রতিষ্ঠান বেইলি গিফোর্ড জীবাশ্ম জ্বালানী নিষ্কাশনে বিনিয়োগ কমাতে এবং পুনর্নবীকরণযোগ্যগুলোতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা শেয়ার না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি পুরস্কারের অর্থ গ্রহণ করবেন না।
'কোশ্চেন সেভেন' বইয়ের কিছু অংশ স্মৃতিকথা, কিছু উপন্যাস এবং কিছু অংশে রয়েছে ইতিহাস। এই বইয়ে রিচার্ড ফ্লানাগান তার বাবা-মা এবং জন্মস্থান অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যকে বোঝার চেষ্টা করেছেন। ফ্লানাগান ১৯৬১ সালে তাসমানিয়ার লংফোর্ড শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
বুকার এবং বেইলি গিফোর্ডকে যথাক্রমে ফিকশন এবং ননফিকশনের জন্য যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার হিসাবে গণ্য করা হয়। রিচার্ড ফ্লানাগান উভয় পুরস্কারই অর্জন করেছেন। তিনি ২০১৪ সালে ‘দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ নর্থ’ উপন্যাসের জন্য বুকার প্রাইজ পেয়েছিলেন। এটি তার ষষ্ঠ উপন্যাস ছিল।
উল্লেখ্য, বেইলি গিফোর্ড প্রাইজ নন ফিকশনের জন্য বিশ্ব সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি পুরস্কার। আগে এটি স্যামুয়েল জনসন প্রাইজ নামে পরিচিত ছিল। ইংরেজি ভাষায় সেরা ননফিকশন বইয়ের জন্য প্রতি বছর ব্রিটেন থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশ্বের যে কোনো দেশের লেখক এটি পেতে পারেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান