ইংরেজ উপন্যাসিক সামান্থা হার্ভে তার 'অরবিটাল' উপন্যাসের জন্য চলতি বছরের বুকার প্রাইজ জিতেছেন। বইটি যুক্তরাজ্যে বেস্টসেলার চার্টের শীর্ষে অবস্থান করছে। প্রথমবার বুকারজয়ী কোনো উপন্যাস পুরস্কার জয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে বেস্টসেলার তালিকার এক নম্বরে উঠে এসেছে।
নিলসেন বুকডেটা অনুসারে, পেপারব্যাক এবং হার্ডব্যাক সংস্করণ মিলে গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে বইটি ২০ হাজার ৪০ কপি বিক্রি হয়েছে।
অরবিটাল উপন্যাসে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছয় মহাকাশচারীর জীবনের একটি দিনের বর্ণনা করা হয়েছে। এই বইয়ের জন্য সামান্থা হার্ভে সাহিত্য জগতের মর্যাদাবান এই পুরস্কারটি পেয়েছেন।
১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় লন্ডনে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৪ সালের বুকারজয়ী লেখকের নাম ঘোষণা করা হয়। সাহিত্যে নোবেলের পরেই বুকার প্রাইজকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। কেউ কেউ এটিকে সাহিত্যের অলিম্পিক গেমস হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ওয়াটারস্টোনস বুকসেলারের প্রধান বিয়া কারভালহো বলেছেন, ১২ নভেম্বর থেকে ওয়াটারস্টোনসে যে পরিমাণ অরবিটাল বিক্রি হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোনো বুকার বিজয়ী লেখকদের ক্ষেত্রে এটি ঘটেনি। গত এক দশকের মধ্যে প্রতিটি বিজয়ী বইয়ের দ্বিগুণেরও বেশি বিক্রি হয়েছে অরবিটাল।
তিনি আরও বলেন, ১২ এবং ১৩ নভেম্বর যুক্তরাজ্যজুড়ে ওয়াটারস্টোনসের বিভিন্ন দোকানে অরবিটালের ব্যাপক চাহিদা দেখা গেছে। মূলত সারা সপ্তাহ জুড়েই বইটির চাহিদা ছিল। এই পর্যায়ে মনে হচ্ছে, এটি ওয়াটারস্টোনসের সর্বাধিক বিক্রিত বুকার পুরস্কার বিজয়ী বই হতে যাচ্ছে।
১৩৬ পৃষ্ঠার এ বইটি হার্ভের পঞ্চম উপন্যাস। এটি বুকারজয়ী দ্বিতীয় সংক্ষিপ্ততম বই। এই পুরস্কারের ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম বিজয়ী উপন্যাস ছিল পেনেলোপ ফিটজেরাল্ডের ‘অফশোর’। ১৩২ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসের মাধ্যমে ফিটজেরাল্ড ১৯৭৯ সালে বুকার জিতেছিলেন।
এদিকে ২০১৯ সালের পর প্রথমবার কোনো নারী লেখক বুকার প্রাইজ পেলেন। ২০১৯ সালে মার্গারেট অ্যাটউড এবং বার্নার্ডিন এভারিস্টো যৌথভাবে এই পুরস্কার পান। এরপর ২০২০ সালে ডগলাস স্টুয়ার্ট, ২০২১ সালে ড্যামন গ্যালগাট, ২০২২ সালে শেহান করুণাতিলাকা এবং ২০২৩ সালে পল লিঞ্চ বুকার জিতেছিলেন।
সামান্থা হার্ভে পৃথিবীর শান্তিকামী সব মানুষের জন্য তার পুরস্কারটি উৎসর্গ করেছেন। ৪৯ বছর বয়সী এই লেখক বিবিসিকে জানান, পুরস্কারপ্রাপ্তির এই ঘটনাটি তার জীবনকে বদলে দেবে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান