মস্তিষ্কে শালিকের পালক
-আমির হামজা
মাঝে মাঝে আমি ভাবতাম,
যেভাবে তুই তাকিয়েছিস আমার দিকে
যেভাবে চেয়েছিস আমার দিকে
চিল সেভাবে পাহাড় চূড়ার গাছ দেখে।
আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম,
যেভাবে তুই বলেছিস আমাকে
কোনো মাটি আরেকটা
মাটিকে কখনও বলেনি সেভাবে।
আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম,
প্রখর রোদে মানুষ পুড়েনা
চামড়াটা মানুষ না চামড়া পুড়ে
সেই চামড়া পোড়া রোদেই হৃদয় পুড়লো তুই হীনা উত্তাপে।
আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম,
মাঝে মাঝে শুধুই ভাবতাম
যে ভাবনাগুলো মস্তিষ্কে শুধুই সেন্স হিসেবে আসে
যে সেন্সে তুই ছিলি সেন্স টাও তোর অংশ তুই কখনোই না।
আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম,
কয়েক ক্রোশ পথ একত্রে হেটে এসে বলবো
“আহা চোখে ধুলা উড়ে আসলো যে
ছলনা ধুলার স্তুপ খুঁজে আসি আবার।”
আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম,
আফগান হাউন্ড হবো ভয়ন্কর আর বন্য
দুজনে মিলে সুপার পাওয়ার খাবো
জীবন যাপনের জন্য।
মাঝে মাঝে ভাবতাম
শরতের শেষেই কথার পাহাড় বানাবো
হেমন্তে সেখানে নবান্নের নতুন ধান
দুজনে শালিক হবো উচ্ছন্নে যাবে ধান।
মাঝে মাঝে ভাবতাম
গ্রীষ্ম না আসুক,
শীত না আসুক তুই আমার ষড়ঋতু
চোখের অশ্রুতে ধুয়ে যাবে না থাকার যত হেতু।
মাঝে মাঝে ভাবতাম
বন্দুকের ফ্যাক্টরি হবে আমি হবো মেকার
কথার তোপে বানাবো ব্যাথার লৌককথা
আর বন্দুকের গুলি সবুজ কালার।
মাঝে মাঝে ভাবতাম
হাতের মধ্যে হাত
সুপার গ্লু ছাড়া আটকে থাকেনা হয়তো।
সুপার গ্লুই নিতাম না হয় হাত আটকানোর জন্যে।
মাঝে মাঝে ভাবতাম,
ভাবনা সবই ডাহুক পাখি সাদা শুভ্র আজীবন
তোর কথায় জোনাক জ্বলে
তোর কথায় হৃদয় অবিচল।
মাঝে মাঝে ভাবতাম,
সমস্ত পাহাড় কেটে তৈরী হওয়া গিরিপথ
তারই মাঝে সরল রেখায় জীবনের সমাগম।
ভাবতাম শালিক পালক ফেলে যায়
তুই ডাইরিতে সযত্নে উঠিয়ে রাখবি জন্যে।