ফরাসি-আলজেরিয়ান উপন্যাসিক বোয়ালেম সানসালকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিখ্যাত লেখকেরা। এদের মধ্যে নোবেলজয়ী ফরাসি লেখক অ্যানি এরনো, নাইজেরিয়ান ওলে সোয়িংকা, তুরস্কের ওরহান পামুক, বুকারজয়ী সালমান রুশদিও রয়েছেন।
৭৫ বছর বয়সী এই লেখক ১৬ নভেম্বর প্যারিস থেকে আলজেরিয়ায় যান। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ আরও অনেকেই তার অবস্থান সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন। সম্প্রতি আলজেরিয়ান প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ১৬ নভেম্বর তাকে রাজধানী আলজিয়ার্স থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরপর আলজেরিয়ান উপন্যাসিক কামেল দাউদ ফরাসি সাপ্তাহিক পত্রিকা লে পয়েন্টে একটি চিঠি প্রকাশ করেন। তিনি বোয়ালেম সানসালসহ আরও যেসব লেখক আলজেরিয়ার কারাগারে বন্দী আছেন, তাদের সবাইকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি লিখেছেন, বোয়ালেম সানসালকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আলজেরিয়ার একটি উদ্বেগজনক বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়েছে। সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করা হচ্ছে, লেখকদের কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে।
ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন অ্যানি এরনো, ওলে সোয়িংকা, ওরহান পামুক, সালমান রুশদি, আন্দ্রে কোরকভ, লেইলা স্লিমানি, জাঁ-মেরি গুস্তাভ লে ক্লেজিও, পিটার স্লোটারডজিক এবং আলা আল আসওয়ানি।
এদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ফ্রান্সের প্রকাশনা সংস্থা গ্যালিমার্ড আলজেরিয়ান এই লেখকের পক্ষে লড়ার জন্য একজন আইনজীবী নিয়োগ করেছে। গ্যালিমার্ড দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সানসালের বই প্রকাশ করে আসছে।
বোয়ালেম সানসাল দীর্ঘদিন ধরে আলজেরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনা করে আসছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সানসাল ৫০ বছর বয়সে তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশ করেন। তিনি ‘লে সার্মেন্ট দেস বারবারেস’ বা 'দ্য বারবারিয়ানস ওথ' উপন্যাসের জন্য পরিচিত। এই উপন্যাসের জন্য ১৯৯৯ সালে তিনি ফ্রান্সের প্রিক্স দু প্রিমিয়ার রোমান পুরস্কার জিতেছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি ‘পোস্তে রেসন্তে আলজেরিয়া: অ্যান ওপেন লেটার টু মাই কম্পেট্রিয়টস ইন অ্যাঙ্গার’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। এরপর আলজেরিয়ায় তার সব বই নিষিদ্ধ করা হয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান