আলোর মাঝে যে প্রেরণা,
বিশ্বের অন্ধকার দূর করেছে, তিনি সেই মহান নেতা।
হজরত মুহাম্মদ সা:, আল্লাহর রাসূল,
যিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন বিশ্বমানবতার সঠিক পথ দেখাতে,
সত্য, ন্যায়, দয়া, ক্ষমতার প্রকৃত রূপ সঞ্চারিত করতে।
তাঁর পদচিহ্নে এগিয়ে চলা,
আমাদের জন্য তা শিখিয়ে যায়, চিরকাল।
মক্কায় জন্ম, আরেক অনন্য ভূমিকা,
যেখানে জীবন ছিল দুঃখ, অবিচার আর তীব্র অবহেলা,
তবে আল্লাহর রহমত, হৃদয়ে ছিল এক শক্তি,
যার উজ্জ্বলতায় পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল, দৃষ্টিভঙ্গি হয়েছিল পবিত্র।
তাঁর মুখে ছিল সত্যের ভাষা,
যতটুকু গভীর, ততটুকু সুন্দর,
অন্যায়, অশান্তি, অসত্যের বিরুদ্ধে
তিনি ছিল রণতৃণ, প্রেরণা হয়ে উঠেছিল তার শব্দ।
যুগে যুগে এসেছে অনেক পণ্ডিত, মহাপুরুষ,
কিন্তু মুহাম্মদ সা: ছিলেন আল্লাহর নিখুঁত চয়ন,
তাঁর জীবন ছিল এক আধুনিক আদর্শ,
যে আদর্শের আলোয় পরিস্কার হতে পারে চরম অবিচার।
মদিনায় প্রতিষ্ঠিত হল শান্তির রাষ্ট্র,
যেখানে ইসলামের নীতি ছিল মানবতা ও সমতা,
তিনি শাসন করলেন শান্তি দিয়ে,
প্রেম, সহানুভূতির মাধ্যমেই ঠিক করেছিলেন রাষ্ট্র পরিচালনা।
তাঁর জীবনে ছিল যুদ্ধ, প্রতিকূলতা, বিপদ,
তবে কখনোই তিনি হার মানেননি,
সারাটি জীবন, ত্যাগের, ধৈর্যের এক অবিরাম সংগ্রাম,
যাতে সবার জন্য শান্তি আসুক, মানুষের হৃদয়ে শান্তি থাকুক।
প্রতিটি কঠিন সময়ে, তিনি ছিলেন আল্লাহর অভিভাবক,
অথচ তাঁর হৃদয়ে ছিল অশেষ কোমলতা, স্নেহ আর ভালোবাসা।
তিনি ছিলেন শিশুদের বন্ধু, নারীদের সন্মানিত রক্ষক,
তিনি ছিলেন দুর্বলদের আশ্রয়, গরীবদের অভিভাবক।
যতই শত্রুরা তাকে কষ্ট দিক,
তবে তিনি ছিলেন সবার জন্য মঙ্গলজনক,
দ্বৈততা, দুঃখ, দুর্দশা, কিছুই তাঁকে থামাতে পারেনি,
তার একটাই লক্ষ্য ছিল, সবার জন্য শান্তি আর ঈমান।
তার গুণাবলী ছিল মহামূল্যবান,
তাঁর ধৈর্য, সহানুভূতি, এবং ত্যাগ, আমাদের জন্য আদর্শ,
তিনি বলেছিলেন, “একজন মুমিন কখনও অন্যের প্রতি অন্যায় করবে না,
এটাই সত্যিকার ইসলাম।”
মুহাম্মদ সা: ছিলেন আমাদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক,
এবং তার বাণী ছিল এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধি।
তিনি শিখিয়েছিলেন, আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে,
তার পথে হাঁটতে, তার নৈতিকতা অনুসরণ করতে।
তার জীবন ছিল আমাদের জন্য মহান শিক্ষার এক সমুদ্র,
যেখানে প্রতিটি অধ্যায়, প্রতিটি মুহূর্ত ছিল আদর্শ,
মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:–
তার সান্নিধ্যে যে কেউ চলে, সে খুঁজে পায় শান্তির আশ্রয়।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস,
বিশ্বে বিভাজন দূর করে একত্রিত হওয়ার অঙ্গীকার,
এমনি ছিল মহানবীর চরিত্র,
যিনি সবকিছুকে অতিক্রম করে, চিরকাল অমর হয়ে আছেন।
তাঁর প্রতি আমাদের ভালবাসা, শ্রদ্ধা, এবং ভক্তি—
এটাই আমাদের পথ, এইটাই আমাদের সঠিক দিশা।
মহানবী মুহাম্মদ সা:
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষ,
যার জীবন আমাদের শিখায়,
তিনিই ছিলেন, আছেন, এবং থাকবেন,
আমাদের মাঝে অনুপ্রেরণা হয়ে।