❌🙏দয়াকরে কেউ এই গল্প টি কপি করবেন না🙏 ❌
গ্রামের এক কোণে ছিল একটি বিখ্যাত মাদ্রাসা। সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে মেয়েরা পড়তে আসত। আয়েশা নামের এক মেয়ে ছিল ওই মাদ্রাসার হোস্টেলের ছাত্রী। খুবই মেধাবী আর শান্ত স্বভাবের আয়েশা ছিল সবার প্রিয়। তবে তার জীবন বদলে যায় এক রাতে।
এক রাতে আয়েশা তার পড়ার ঘরে বসে কুরআন তিলাওয়াত করছিল। হঠাৎ জানালার পর্দা বাতাস ছাড়াই নড়তে শুরু করল। ভেবেছিল বাতাস ঢুকছে, তাই জানালা বন্ধ করতে গেল। কিন্তু জানালা ছিল বন্ধ। ঠিক তখনই তার কানে এলো কারো ফিসফিসানি, যেন কেউ তার নাম ধরে ডাকছে। ভয় পেলেও আয়েশা সাহস হারাল না। তবে এই ঘটনার পর থেকেই তার জীবন অদ্ভুত এক মোড় নেয়।
পরের কিছুদিন ধরে, আয়েশা অনুভব করত কেউ সবসময় তাকে অনুসরণ করছে। রাতে সে যখন ঘুমাতে যেত, তখন মনে হতো ঘরের কোণে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। একদিন আয়েশার সহপাঠীরা লক্ষ্য করল, তার আচরণ বদলে যাচ্ছে। সে আগের মতো হাসিখুশি ছিল না। প্রায়ই চুপচাপ বসে থাকত আর অদ্ভুতভাবে শূন্যে তাকিয়ে থাকত।
এক রাতে, আয়েশা হঠাৎ জোরে চিৎকার করে ওঠে। সহপাঠীরা ছুটে এসে দেখে, সে বিছানার ওপর অস্বাভাবিক শক্তি দিয়ে লাফাচ্ছে, আর তার কণ্ঠ সম্পূর্ণ বদলে গেছে। যেন অন্য কেউ তার ভেতরে কথা বলছে। ভয়ে সবাই হোস্টেলের শিক্ষকদের ডাকল। শিক্ষকরা এসে কুরআনের আয়াত পড়তে শুরু করেন। তখনই আয়েশা জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়।
পরদিন মাদ্রাসার এক প্রবীণ আলেম ডাকা হলো। তিনি বললেন, আয়েশার শরীরে এক জিন বাসা বেঁধেছে। সেই জিন দাবি করেছে, সে এই মাদ্রাসার পুরনো একটি বটগাছের নিচে বাস করত। আয়েশা একদিন ভুলবশত সেখানে পা দিয়ে বসেছিল, আর এতে জিন ক্ষুব্ধ হয়ে তার শরীরে প্রবেশ করেছে। (লিখতে: মোহনা)
প্রবীণ আলেম মাদ্রাসার সবাইকে একত্র করে বিশেষ দোয়া ও কুরআন পাঠের আয়োজন করলেন। জিনটিকে তাড়ানোর জন্য পুরো মাদ্রাসা মিলে কয়েকদিন ধরে বিশেষ দোয়া করল। একদিন দোয়ার মাঝখানে আয়েশা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর যখন তার জ্ঞান ফেরে, সে বলে, তার ভেতর থেকে একটা ভারী অনুভূতি চলে গেছে। (লিখতে: মোহনা)
এই ঘটনার পর থেকে আয়েশা আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। তার পড়াশোনায় ফিরে আসে মনোযোগ। মাদ্রাসার ছাত্রীরা ও শিক্ষকরা সেই বটগাছটি কেটে ফেলে এবং সেখানে আরও দোয়া ও কুরআন খতম আয়োজন করে।
এই ঘটনা মাদ্রাসার সবাইকে শিক্ষা দেয়, জিনের অস্তিত্বে ভয় না পেয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে। আর আয়েশার সাহস ও ধৈর্য সবার জন্য এক উদাহরণ হয়ে থাকে। (লিখতে: মোহনা)