এটা বেশি দিন আগের কথা নয়। এটা কিছুদিন আগেরই কথা বটে। আমি তখন বাংলা বই পড়ছিলাম। কারণ আমাদের স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার বেশি দেরি নেই।তখন রাত এগারোটা বাজে। আমার বাবা তখন দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে এবং দরজায় কড়া নাড়ে। আমি দরজাটা খুলে দিয়ে পড়ার টেবিলে যাই। আমার বাবা ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আমার কাছে আসে এবং আমাকে বলে আগামীকাল নাকি আমাকে দোকানে যেতে হবে। আমার বাবা নাকি আগামীকাল ঢাকা যাবে। তখন আমি এ কথা শুনে হ্যাঁ বলে দিই এবং রুটি খেয়ে ঘুমাতে চলে যাই। আমি আবার রাতে ফ্যান ছাড়া ঘুমাতে পারিনা। একে তো শীতের রাত আবার ফ্যান। তাই আমি কম্বল পেঁচিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুমানোর পর আমার আম্মু প্রতি রাতের মতো ফ্যান বন্ধ করে দেয়, যাতে আমার অসুখ না হয়। আজ তো কিছু হয়নি।আসল ব্যাপারটা হবে কালকে।
কালকে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি ১১ঃ০০ টা বাজে। আমি দ্রুত দাঁত ব্রাশ করি এবং গোসল করি।পরে আমি সকালের নাস্তা করি। এরপর আমি কিছু বই নিয়ে রওনা দিই দোকানের উদ্দেশ্যে। আমাদের দোকান আমাদের বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয়, তাই দোকানে যেতে সুবিধাই হয়। গিয়ে আমি যা দেখি তা আমি চিন্তাও করতে পারিনি এমন কিছু হবে। আমি গিয়ে দেখি ৫-৬ টা পুলিশ দাঁড়িয়ে। আমি মনে করেছিলাম তো দোকানে কিছু হয়েছে।কিন্তু দোকানের ভিতর ঢুকে দেখি পুলিশরা সিসিটিভি ক্যামেরা এর ফুটেজ চেক করছে।আস্তে আস্তে তাদের কথা শুনে দেখি ছিনতাই হয়েছে তবুও লোকে ভরা বাজারের মধ্যে। তবুও তো কথা, আজকাল এরকম বাজারের মধ্যেই তো ছিনতাই, চুরি-চামারি বেশি হয়। আমি তো এটা শুনেই অবাক যে, একটা মহিলার গলা থেকে একজন ছেলে সোনার হার এবং কানের দুল নিয়ে যায়। আর মহিলাটা তা টের ও পায় না। মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করলে জানা যায়,যুবকটি তাকে নাকি কিসের স্প্রে করেছিল পরে তার কিছু মনে নেই। পুলিশেরা সিসি টিভি ক্যামেরায় চোরের মুখ দেখতে পায়। এবং চোরকে ধরার জন্য পদক্ষেপ নেয়। পুলিশেরা বিকালে তাকে একটা রাস্তার পাশে দেখতে পায় এবং ওইখানেই তাকে গ্রেফতার করে। ওই মহিলার আমানত ও পুলিশেরা উদ্ধার করে। আমি এটা দেখে অনেক খুশি হই। আমি মনে মনে বলি, এরা যে কেন চুরি করে কে জানে ? আর আমি মুচকি মুচকি হাসি।