একদিন তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। চারপাশ ভিজে একেবারে কাকভেজা। ছোট্ট গ্রামের কাঁচা রাস্তায় চলছিল একটি মেয়ে। তার নাম রাইমা। গায়ে মাটির রঙের শাড়ি, মাথায় কাপড় টেনে ধরেছে, কিন্তু বৃষ্টির ধারা থামাতে পারছে না।
রাইমা যাচ্ছিল গ্রামের শেষ প্রান্তে ছোট্ট একটি মাটির বাড়ির দিকে। ওখানে তার দাদু একা থাকেন। রাইমা প্রতিদিন তার জন্য খাবার নিয়ে যায়। কিন্তু আজকের ঝড়-বৃষ্টিতে হাঁটা প্রায় অসম্ভব।
পথে একটা পুকুরের ধারে এসে রাইমা থমকে দাঁড়ায়। পুকুরের পানি টলমল করছে, আর পুকুরের মাঝখানে একটা পদ্মফুল বৃষ্টির পানিতে দুলছে। হঠাৎ করে রাইমার চোখে পড়ে, পাশের ঝোপের মধ্যে একটা ছোট্ট কুকুর বৃষ্টিতে কাঁপছে।
সে থেমে কুকুরটাকে কোলে নেয়। ভেজা শরীর নিয়ে কুকুরটা তার দিকে তাকিয়ে যেন কৃতজ্ঞতা জানায়। রাইমা কুকুরটাকে নিয়ে দাদুর বাড়ি পৌঁছায়। দাদু হাসি মুখে বলে, “আজও তুমি বৃষ্টি থামাতে পারলে না রে!”
রাইমা মুচকি হেসে বলে, “বৃষ্টি থামলে কি জীবন থামে, দাদু?”
গল্পের শেষে দেখা যায়, বৃষ্টি সত্ত্বেও জীবনের পথ চলা থেমে থাকে না। বৃষ্টি যতই ঝরুক, মন যদি দৃঢ় থাকে, ভালো কাজ থেমে যায় না।