অপূর্ব একজন নবীন ইতিহাসবিদ। প্রাচীন ভবন এবং তার গোপন ইতিহাস নিয়ে কাজ করা তার নেশা। একদিন সে একটি অদ্ভুত চিঠি পেল। চিঠিতে লেখা ছিল:
"অপূর্ব বাবু, আপনি প্রাচীন স্থাপত্যের রহস্য উন্মোচন করেন শুনেছি। তাই আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাই। আমাদের গ্রামের 'জমিদার ম্যানশন'-এর এক রহস্যময় ইতিহাস আছে। আপনাকে সেখানে গিয়ে সেই ইতিহাস উন্মোচন করতে হবে।"
চিঠির শেষে কোনো প্রেরকের নাম ছিল না, শুধু একটি ঠিকানা দেওয়া ছিল। গ্রামের নাম ‘নিবিড়পুর’। চিঠি পড়ে অপূর্বের মনে কৌতূহল জাগল। এধরনের রহস্যময় আমন্ত্রণ সে উপেক্ষা করতে পারল না।
অপূর্ব ট্রেনে করে নিবিড়পুরের পথে রওনা দিল। গ্রামে পৌঁছে দেখে, জায়গাটা শহর থেকে অনেক দূরে। গ্রামের মানুষজন চুপচাপ। ম্যানশন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে কেউ কথা বলতে চায় না, শুধু বলে, "ওখানে যেয়েন না বাবু। জায়গাটা অভিশপ্ত।"
অপূর্ব ভেবে দেখল, গ্রামবাসীদের অযৌক্তিক ভীতি তাকে দমাতে পারবে না। এক বৃদ্ধ লোক তাকে ম্যানশনের পথ দেখিয়ে দিল। সন্ধ্যায় ম্যানশনের সামনে পৌঁছে অপূর্ব দেখল, বিশাল কাঠের দরজা, চারপাশে বনজঙ্গল