প্রথম ভোট
আজ সকাল থেকেই শীতল একটা উত্তেজনা ছড়িয়ে আছে রাকিবের মনে। আজ সে জীবনের প্রথম ভোট দিতে যাবে। ১৮ বছরের গণ্ডি পার করেই ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে তার। হাতে নতুন চকচকে ভোটার কার্ড, যেন গর্বে বুক ফুলিয়ে আছে।
মা সকাল থেকে রাকিবকে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন, “ভালো করে ভেবে ভোট দেবে। এই ভোট তোমার অধিকার, দায়িত্বও। কারও কথায় প্রভাবিত হয়ো না।”
রাকিব মাথা নেড়ে সায় দেয়। তার মনে একটা মিশ্র অনুভূতি—গর্ব, দায়িত্ব আর একটু উত্তেজনা।
গাঁয়ের স্কুল মাঠে বড় করে ভোট কেন্দ্র বানানো হয়েছে। গ্রামের মানুষজন ভোর থেকেই লাইন ধরেছে। রাকিব দেখে, তার বন্ধুরাও এসেছে। সবার মুখে একই রকম উৎসাহ।
ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে রাকিব ভাবে, "কী দারুণ অনুভূতি! আজ আমিও এই দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার অংশ হবো।" বুথের ভেতরে ঢুকে সে বুঝতে পারে, কী দায়িত্ব তার কাঁধে। ব্যালট দেখে একটু দ্বিধা হয়, তারপর নিজের সিদ্ধান্তে ভোট দেয়।
বুথ থেকে বেরিয়ে সে মা-বাবার কাছে গিয়ে বলে, “ভোট দিয়ে এলাম!” বাবা পিঠ চাপড়ে বলেন, “তুমি এখন আসল নাগরিক।”
রাকিবের মনে একধরনের আত্মতৃপ্তি কাজ করে। ছোট্ট এই কাজটা যেন তাকে জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করিয়ে দিল। ভোট দেওয়ার পর সে বুঝল, গণতন্ত্র কেবল একটা শব্দ নয়; এটা তার নিজের পরিচয়, তার অধিকার।
শেষ।