শীত। ঘনঘোর কুয়াশার ঘোর।
ধাতব-ঠাণ্ডা, শীত-শীত...
বেঁকে গেছে ঝিলমিলি মোড়ক আর মোড়।
সিঁটিয়ে যাওয়া কংক্রিট, আর আমি।
সবাই-ই জানে, একমাত্র ভাঙা ভাঙা নীল চিনি আমি।
আমি চিনি শুধু নীল।
চুপচাপ, থেমে থাকা, ঠাণ্ডা, পুড়ে যাওয়া নীল।
টোলিং বেলের মতো তোমার ল্যারিংসের সমস্ত টুংটাং আমার কানে আসে।
কী সুন্দর! কী বীভৎস!
ফর হুম দ্য বেল টোল্স সোনা?
আমি পিকাসোর ব্লু পিরিয়ডটা ঘুরে এসেছি।
এমন শীতে ওই জিনিস আমি একটা পমেডের কৌটায় আটকে ফেলতে পারবো।
তারপর আমি তো মরেও যাবো।
এই হারপিক-ক্রেজের মৌসুমে আমিও কি খাবো?
ছি ছি!
শুকনা গাছের থেকে ধ’রে, মৃতঘণ্টার থেকে ধ’রে, ওই যে কি-বোর্ড আর কাঁচের বোতল, সেখান থেকে ধ’রে শুধু চুমু খাই।
নিরবধি চুমু খাই ছায়া-ছায়া তোমাকে।
নতুন জুতার তলা থেকে টেনে, আর... জানিনা।
শুধু চুমু খাবো। তালের শাঁসের মতো চিবিয়ে।
আমি তোমার ঘ্রাণ পাচ্ছি না। বোধহয় মরে যাবো।
তোমার অপ্রাকৃত নরম আঙুলগুলো কেমন আছে বলো না! প্রত্যেকটাই আছে?
সব বলো, সব, স—ব।
আমি কীভাবে হাঁটছি? কীভাবে পারছি কথা বলতে?
আমি নাকি সুন্দরভাবে আছি। মানে বেঁচেবর্তেও আছি!
দশ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে কুকুরের মতো শুঁকতে চেয়েছি তোমার ঘ্রাণ।
আর আঙুল ছুঁয়েছি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্লিশে অজুহাতে।
কিচ্ছু করবো না, শুধু ভেঙেচুরে ফেলবো।
শুধু নিয়ে নেবো, তোমাকে নেবো, আর চুড়চুড় ক’রে ভেঙে যাবে।
আসো তোমার পারদে বোনা বোতাম খসাই।
পারদ শরীরে গেলে কী হয় জানো? মার্কারি পয়জনিং।
এই শীতে কিছু কবিতা লেখো না সোনা!
আমি তোমার ভেতর থেকে শব্দ খুঁজে আনি তো!
কোকুনের ভেতর থেকে সুতা বের করার মতো।
বসে বসে দেখছি কবেকার নারকেল তেল জমে আছে।
শোনো শোনো।
তুমি জমে যেও না।
আঙুলের মতো ক’রে থেকে যেও।
পেরিয়ে যেও শীতটা।
127
View