#গল্প_অদৃশ্য_সাইকো
#লেখক_জাকির_হোসেন
#পর্বঃ১
বেকিং নিউজ!!!
সিলেট শহর জুড়ে আতংকে আছে।
শুধু সিলেট শহর বললে ভুল হবে, সিলেট বিভাগে এক অজানা ভয়ে আছে।
কারণ গত দুই মাসে ৮৩ জন লোক নিখোঁজ হয়ে ছিলো, তাদের মধ্যে ৪৩ জন,লোকের লাশ পাওয়া যায়, সারা সিলেট বিভাগ জুড়ে কান্নার হাহাকার নেমে আসছে!
তাদের মধ্যে ২০ জন মেয়ে, সবার বয়স অনুমানিক করা হয়েছে ২৩ তেকে ২৪ বছরের, এর ভিতর হবে।আর বাকি ২৩ জনে ছেলে, এমন ভয়ানক মৃত্যু সিলেট বিভাগের মানুষ আর দেখে নাই। সবার লাশ সুরমা নদীর কাছে পাওয়া গেছে।
এর ভিতরে আর ৪৩ জন লোক নিখোঁজ,সবার মিসিং রিপোর্ট লেখা হয়েছে,এই নিয়ে সারা দেশের মানুষ আতংকে আছে।
এবার মূল গল্পে যাওয়া যাক।
মিডিয়া :স্যার স্যার আপনি কিছু বলেন, এই লা*শ গুলোর বিষয়ে, দেখেন আমাদের তদন্ত করতে দিন! এই বলে চলে গেলেন।
পুলিশ সুপার (ছন্দ নাম) জাকির হোসেন। ও সিট এই ভাবে কেউ খু*ন করে। আমি সব কয়টা লাশ ভালো ভাবে চেক করলাম, প্রতিটি লাশের শরীল একটা হাত আর গলা কাটা। মেয়ে লাশ গুলোর। আর ছেলে লাশ এর সবার শরীরের বিশেষ অঙ্গ কাটা হয়েছে, যেমন কারো হাত, কারো পা, কারো সবগুলো আঙ্গুল। সবাই কে বিভিন্ন ভাবে হত্যা করা হয়েছে।আর এই ঘটনা নিয়ে সরকার পরযন্ত কেঁপে উঠেছে।
তখন আমার সহকারী পুলিশ, ভাই কি করবো বুঝতে পারছি না, কোনো প্রমান ওই তো নাই।আর খুনি কে বাহির করবো কি করে, এত ভয়ানক মৃত্যু।সব গুলো লাশের সাথে টর্চার হয়ে, মনে হয় এদের টিক মতো খাবার ও দিত না।
তখন একটা লাশের দিখে আমার নজর যায়, (ছদ্মনাম) রাসেল আহমেদ। রাসলে ভাই এই লাশ টা দেখেন কেমন যানি আলাদা সব গুলো লাশের থেকে, সব লাশ একসঙ্গে আছে। আর এই লাশ কম হলে ২০ থেকে ৩০ মিটার দূর।ওর সাথে কোনো টর্চার হয় নাই। আর এই পায়ের চাপ গুলো দেখেন, মনে হয় এই লোক খুনিকে দেখে ছিল। তাই খুনি ওকে মেরে দেয়।
সব লাশ কাটা চিঁড়া শুধু এই লাশ ব্যতীত, এই লাশ গুলো পোসমাটাম করতে পাঠান। আর এই লাশ কে ভালো ভাবে নজর দিতে বলবেন।
যাদের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে।তাদের ফোন করে থানায় আসতে বলো।
আমি থানায় যাচ্ছি আপনি লাশ গুলো রেখে আসেন, গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছি থানার উদ্দেশ্য,আর ভাবতেছিলাম , কোনো খুনি,একা এই কাজ করতে পারবে না।আর এত গুলো মানুষ এক রাতে কিডনাপ,কি করে সম্ভব।
একন সময় রাসেল ভাই কল দিল,সবার পরিবার থানায় আসছে, ওকে আমার আসতে ১০ মিনিট সময় লাগবে।
এই সময় (ছদ্মনাম) মেঘলা চৌধুরী! কল দিলো,হ্যালো আপনি বাসায় কবে আসবেন? আসতে লেইট হবে আর তুমি তো যান,শহরের অবস্থা কেমন, আর একটু সাবধানে তাকিও টিক আছে। আর মেঘলা আমার স্ত্রী হয় ।
কল শেষ হলো এর মধ্যে আমি থানায় চলে আসি,ভিকটিম এর পরিবার সবাই কে এক জাগায় বসিয়ে রাখি।আর সামনে বোর্ডে সবার পিক লাগিয়ে রাখি।যেন সবাই বিষয় টা বুঝতে পারে। এক ভিকটিম এর সাথে, অন্য ভিকটিম এর পরিচয় আছে কি না।
তাই আমি সবার উদ্দেশ্য বলতে থাকি, আমি দুঃখিত এই অবস্থায় আপনাদের একানে আসতে বলছি।
সবাই মনযোগ দিয়ে দেখেন বোর্ড এর পিক গুলো, আপনার ছেলে মেয়ে ব্যতীত অন্য কাউকে চিনেন কি না।
একজন বল উটে, ওই মেয়েটাকে আমার ভাইয়ের সাথে একটা ছবিতে ছিলো, কোন মেয়েটা, সাদা শাড়ি পড়া মেয়েটা, এই নিন স্যার পিক, এক এক করে সবার পিক সবার সাথে মিলে যাচ্ছে, আর এতে মনে হচ্ছে সবাই একে ওপর কে চিনতো,তখন একটা প্রমান পাই,যেমন প্রতিটি লাশের কেউ স্বামী স্ত্রী আবার কারো বিয়ে টিক হয়েছিল গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড আছে।
শুধু একটা লাশ এই লোকটার লাশ ব্যতীত, সবার সাথে সবার মিল আছে, হয়তো এই লোকটা খুনির সাথে ছিল, কাজ শেষ করে খুনি ওকে ও মেরে দেয়,না হলে খুনিকে ও দেখেছিল।খুনি এদের কেন টার্গেট করলো।
কিন্তু রালেস ভাই, এই বাচ্চা ছেলে মেয়ে গুলোর কি দু'শ ছিলো।এমন নির্মম ভাবে হত্যা করে। জাকির ভাই, এই লাশটার পরিচয় সনাক্ত হয়েছে কিন্তু ওর সাথে কোন মেয়ের পরিচয় ছিলো না। তার মানে আমার সন্দেহ টা টিক ছিল। ও খুনিকে দেখেছিল, তাই ও বাঁচতে পালায়। আর ওই খুনিটা দেখে নেয়, তাই ওকে মেরে দেয়।
এমন সময় হসপিটাল তেকে ডাক্তার কল দিলো। পোসমাডাম রিপোর্ট পাটিয়েছি দেখে নিন। আর সবার পিটে লোহা গরম কর লিখা হয়েছে অদৃশ্য সাইকো।
রাত ১ টা বাজে, রাস্তা দিয়ে হাঁটছে( ছন্দ নাম) মিরা আর মিরাজ?
এই ভয়ানক সময় রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। ওরা,বাঁচতে কি পারবে সাইকোর হাত থেকে। আর বাকি ৮৩ জন ছেলে মেয়ে??
চলবে!!!!!!
ভুল ক্রটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।