একটি রঙিন বিকেলে, কলকাতার একটি ছোট্ট পার্কে, সূর্য অস্ত যাচ্ছে আর সেই সাথে গাছের পাতা গুলোতে সোনালী আলোঝলমলে। সেখানে বসে আছে সুরা, এক তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার চোখে স্বপ্ন আর মনে চলছে নানা ভাবনা।
কিছু দূরে, একটি বইয়ের স্টল থেকে সদ্য ফিরে আসা রোহিত, যে সুরার প্রেমে উন্মাদ। তার চোখে সুরার জন্য এক অদ্ভুত আকর্ষণ। সুরা আর রোহিতের পরিচয় হয়েছে কলেজের প্রথম দিনেই। তখন থেকেই শুরু হয়েছে তাদের মধ্যে ভালোবাসার এক সুন্দর অধ্যায়।
সুরা মাথা নিচু করে বই পড়ছে। এদিকে রোহিত সাহস সংগ্রহ করে এগিয়ে যায়। “মেয়েটা কি কখনো আমার দিকে তাকাবে?” মনে মনে বলে সে।
“হ্যালো, সুরা!” অবশেষে সে ডাক দেয়। সুরা মাথা তুলে তাকায়।
“ওহ, রোহিত! তুমি?” একটু অস্বস্তিতে সে বলে।
“আমি তোমার কাছে আসার আগে কিছু ভাবছিলাম। তুমি কি জানো, তোমার হাসি আমার গোটা দিনটাই বদলে দেয়?”
সুরার cheeks লাল হয়ে যায়। সে সোজা চোখে রোহিতের দিকে তাকাতে পারে না।
“আমি একটা বই পড়ছিলাম—” সে শুরু করে।
“বইয়ের চেয়েও মজার গল্প পেলে, তুমি কি শুনবে?” রোহিত প্রশ্ন করে।
“কি গল্প?” সুরা মনে মনে সাদরে প্রশ্ন করে, কিন্তু মুখে কিছু বলে না।
“আমাদের গল্প!” রোহিত বলল। “তুমি জানো, আমি তোমায় ভালোবাসি। তোমার সাথে সময় কাটাতে আমার কাছে সবকিছু গুরুত্বপূর্ণ।”
এক মিনিটের জন্য চুপ। এই মুহূর্তে, পার্কের সবকিছু থমকে গেছে, যেন তারা দুজনই আলাদা একটা জগতে।
“এবং আমি জানি, আমি এসকল শব্দে কী বলেছি,” রোহিত থেমে যায়, “তবে তুমি কি আমার অনুভূতি বুঝতে পারছ?”
সুরা তার স্নিগ্ধ মুখে একটু হেসে বলে, “রোহিত, আমি ভাবিনি তুমি এভাবে বলবে। কিন্তু আমি আসলেই তোমায় ভালোবাসি।”
রোহিতের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। সে তার হাত ধরার জন্য বাড়িয়ে দেয়। “তাহলে, আমাদের গল্পটা শুরু হোক।”
এখন তারা হাত ধরাধরি করে পার্কের পথ ধরে হেঁটে চলে। সূর্যের শেষ আলোতে, সারা পৃথিবী যেন তাদের জন্য তৈরি হয়েছে।
এভাবেই শুরু হলো সুরা আর রোহিতের প্রেমের এক নতুন অধ্যায়—একটি আনন্দের, সমৃদ্ধ, এবং বর্ণিল গল্প যা তাঁদের হৃদয়ে অমলিন হয়ে থাকবে।