এক সময়কার কথা, এক রাজ্যে এক রাজকুমারী ছিলেন। তার নাম ছিল রাধা। রাধা ছিলেন অত্যন্ত সুন্দরী আর হৃদয়বান। তিনি সারা দিন গরীব মানুষের সেবা করতেন। একদিন রাধা রাজ্যের বাইরে ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ একটা বনের ভেতরে হারিয়ে গেলেন। বনটা ছিল অন্ধকার আর ভয়ানক।
হঠাৎ তার সামনে একটা বড়সড় সিংহ দাঁড়াল। রাধা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে চোখ বন্ধ করে রইল। কিন্তু সিংহটি তাকে না খেয়ে তার পাশে বসে পড়ল। রাধা চোখ খুলে দেখল সিংহটি কিন্তু ভয়ানক না, বরং খুবই দুঃখী। সিংহটি রাধাকে বলল, "আমি এই বনের রাজা। আমার স্ত্রী আর বাচ্চা মারা গেছে। আমি একা একা খুব একা।"
রাধা সিংহটিকে দেখে দুঃখ পেল। সে সিংহটিকে সান্ত্বনা দিল। রাধা প্রতিদিন বনে আসতে লাগল। সে সিংহটিকে খাবার দিত, তার সাথে কথা বলত। ধীরে ধীরে সিংহটির দুঃখ কমতে লাগল।
এদিকে রাজ্যে রাধাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাজা-রানি খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন। একদিন একজন বন্যারি রাজাকে জানাল যে সে একটা সিংহের সাথে এক মেয়েকে দেখেছে। রাজা তৎক্ষণাত সৈন্য নিয়ে বনে রওনা হলেন।
বনে গিয়ে তারা রাধাকে সিংহের সাথে দেখতে পেল। রাজা রাধাকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলেন কিন্তু রাধা যেতে রাজি হলো না। সে বলল, "আমি সিংহটিকে একা রেখে যেতে পারি না।"
রাজা রাধার ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে সিংহটিকেও রাজ্যে নিয়ে আসলেন। রাজা সিংহটিকে তার রাজ্যের রক্ষক বানিয়ে দিলেন। রাধা আর সিংহটি সুখে শান্তিতে বাকি জীবন কাটাল।
কাহিনীর শিক্ষা: প্রাণী হোক বা মানুষ, সবার মধ্যেই ভালোবাসা থাকে। ভালোবাসা সব সমস্যার সমাধান করতে পারে।