একদিন, এক গভীর বনে এক ছোট্ট পাখি বাস করত। তার নাম ছিল মিনু। মিনু ছিল খুবই সুন্দর, তার পালকের রং ছিল নীল আকাশের মত নীল আর তার গান ছিল মধুর বাতাসের মত মধুর। প্রতিদিন সকালে সে গাছের ডালে বসে গান গাইত আর তার মন ভরে উঠত।
একদিন মিনু বনের গভীরে ঘুরতে গিয়ে একটা ছোট্ট বাগান পেল। বাগানটা ছিল খুব সুন্দর, রঙিন ফুল আর মিষ্টি সুগন্ধি ভরে থাকত। মিনু সেখানে প্রতিদিন আসত আর ফুলের মধু খেয়ে গান গাইত।
একদিন মিনু একটা ছোট্ট ছেলেকে দেখতে পেল। ছেলেটি খুব অসুস্থ ছিল। সে বাগানে এসে একা একা বসে থাকত। মিনু ছেলেটিকে দেখে দুঃখ পেল। সে প্রতিদিন ছেলেটির কাছে গিয়ে গান গাইত। ছেলেটি মিনুর গান শুনে খুশি হতো আর তার মুখে হাসি ফুটে উঠত।
দিন গুলো কেটে যেত। মিনু আর ছেলেটির বন্ধুত্ব গভীর হয়ে উঠল। কিন্তু একদিন ছেলেটির অসুখ আরো বেড়ে গেল। সে মারা গেল। মিনু খুব কাঁদল। সে ছেলেটিকে ভুলে যেতে পারছিল না। সে প্রতিদিন বাগানে এসে ছেলেটির জন্য গান গাইত।
কিন্তু একদিন একদল শিকারি এসে মিনুকে ধরে নিয়ে গেল। তারা মিনুর সুন্দর পালক বিক্রি করতে চাইল। মিনুকে একটা পাঁজরে বন্দি করে রাখা হল। মিনু খুব কষ্ট পেল। সে তার বন, তার বাগান আর তার বন্ধুকে মনে পড়তে লাগল।
একদিন রাতে মিনু পাঁজর থেকে বের হয়ে পালিয়ে গেল। সে তার বনের দিকে ছুটে চলল। কিন্তু সে আর কখনো তার বন্ধুকে পেল না। মিনু বাগানে এসে ছেলেটির জন্য গান গাইল। কিন্তু কোনো উত্তর পেল না।
মিনু বুঝতে পারল যে সে আর কখনো তার বন্ধুকে ফিরে পাবে না। সে নিরাশ হয়ে বনের গভীরে চলে গেল। সে আর কখনো আগের মত গান গাইল না। তার গানে আর আগের মত মধুরতা ছিল না।
কাহিনীর শিক্ষা: বন্ধুত্ব এক মহান সম্পদ। বন্ধুত্ব হারালে জীবন যেন অর্থহীন হয়ে যায়।
কি ভাবছো এই গল্প নিয়ে?