অনেকদিন হলো মেঘ ভাবছে মেঘলার মন খারাপের কথা। আকাশ নামের ছেলেটি তাকে ছেড়ে চলে গেছে পরপারে। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে তার মৃত্যু হয়। আজকাল বিয়ে বসাটা তাহলে এতোটাও সহজ নাহ্। তাই যদি না হবে, মেঘলার বাগদানের পর ওর হবু স্বামীর মৃত্যু হলো কেন? যেচে জিজ্ঞেস না করলে তো আজকাল কারো খোঁজ খবরই পাওয়া যায় না। আকাশটা মেঘলা, শীতের সকাল বরাবরই অন্যরকম, যদি শিশির পড়ে ঘাসগুলোতে – তবেই না। এ দেশে সৌন্দর্য চিরায়ত, মানুষও ততটা বিলীন হয়ে যায় না – হোক না সাহসী অথবা, ভীতু। ফ্যামিলি বলতে আজ যা পাশে থাকে, জীবনের টানাপোড়েন আর বিশ্বাসের ঘাটতিতে সেটুকু মুছে যায়। একসময় অস্ত্রেরও মৃত্যু হয়, বেঁচে যায় আরও কিছু মানুষ। তাহলে মেঘলার জীবনে মেঘ আসলে কি? এরকম সম্পর্কের কি কোনো নাম দেয়া যায়? অহেতুক খবর নেয়ার প্রয়োজন - টা ঠিক কেন যে সেটা বুঝতে পারে না মেঘ। মেঘলা, মেঘলা – মনে করতে পারে না মেঘ – কে এই মেঘলা?
কই আগে তো পরিচিত ছিল না এই মেয়ের সাথে! মানুষ তাহলে কষ্ট পেতে চায়। কি কুক্ষণেই না দেখা করেছিল মেঘলা, একেবারে বিয়ের কার্ড হাতে নিয়ে! একটা জিনিস কয়েকদিন ধরে খেয়াল করছে মেঘ, জীবনেও এতো ঘুমায়নি সে, কোথাও একটা অদ্ভুত শান্তি বিরাজ করছে মনে। শীতের সকালে একটু চা খেতে পারলে ভালোই লাগে। তবে ফ্যামিলিতে না জানিয়ে একটা কাজ করা মোটেও সহজ নয় – চা খাওয়া আর জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়া এক কথা নয় – সে দিক থেকে বীরপুরুষ সাজার কোনো মানেই হয়না। মেয়ে মানুষের থেকে কথা আদায় করা হয়তো এতটা কঠিন না যতটা বিয়ে করতে লাগে। লাইফ ফোর্স না থাকলে মানুষ নাকি চলা শেখে না। বরাবরই একটা হীনম্মন্যতা ভর করে মনে, যদি এই চাকরিটাও না হয়? কী উত্তর দিবে সে তার বাবা-মায়ের সামনে। এর পরে না মেয়ে পছন্দের কথা আসে। তাহলে সে এগুলো কি করতেছে? অজানা-অচেনা মেঘলা নামের মেয়েটির জন্য তার মন খারাপ হবে কেন? এই প্রশ্নটা অন্তত মনে আসারই কথা। এদিকে দেশের কাজ, দেশের কাজ বলে মাথা খাওয়া বন্ধুদের উপর থেকে তার বিশ্বাস উঠে গেছে। অস্ত্রের সামনে মানুষ কত অসহায়, ইশ্!