আমি ইকরাম। আমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি। এটি একদিন সকাল বেলার কথা। আমি সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠি কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য। গতকাল আমি কোচিংয়ে যাইনি। কারণ ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। আজ বাইরে খুব জোরে বৃষ্টি পড়ছে। আমি ফ্রেশ হয়ে কাধে ব্যাগ নিয়ে এবং হাতে একটা ছাতা নিয়ে বের হয়ে পড়ি কোচিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কোচিং এ যাওয়াটাই আমার কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠে। কারণ,এত জুড়ে বৃষ্টি পড়ছিল যে, আমি ভিজে যাচ্ছিলাম। ছাতা ও বৃষ্টির ফোটাকে আটকে রাখতে পারেনা।
তাই আমি অর্ধ পথে একটা দোকানের নিচে দাঁড়ালাম। পকেটে মাত্র ১৫ টাকা রয়েছে। দেখি একটা রিকশা আসছে আমাকে নিয়ে যায় নাকি। আমি রিক্সাকে ডাক দেই এবং দাম ফুরিয়ে উঠে যায়। রিক্সা চালক ২০ টাকা বলেছিলেন কিন্তু আমি ১৫ টাকা বলতেই রাজি হয়ে যায়। আমিও সাথে সাথে উঠে পড়ি। কিন্তু আমার কপাল টাই মনে হচ্ছে খারাপ। গিয়ে দেখি আজকে কোচিং বন্ধ। বৃষ্টিও কমে গেছে তাই আমি ছাতাটা বন্ধ করে হাতে রাখি কোন সময় বৃষ্টি পড়ে যায় তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। আমি হাটছি এমন সময় সামনে দেখি আমার বন্ধু নওয়াজেশ আর সপ্তম শ্রেণীর কিছু ছেলে আসছে। তারা নাকি গতকাল কোচিংয়ে যায়নি। আমি তাদের বলি আজকে কোচিং বন্ধ। তা শুনে তার অবাক হয়ে যায় এবং বাড়ির দিকে রওনা হয়। আমার সাথে নওয়াজেশও ছিল। আমরা আকাশে চেয়ে দেখি আকাশে অনেক মেঘ জমে আছে এবং বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। অনেক সুন্দর লাগছিল সেই দৃশ্যটা।
সে দৃশ্যটি এতই সুন্দর যে বলে বুঝানো যাবে না। তারপর সেখানেই অন্ধকার হয়ে যায় এবং বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। আমি ছাতা মেলাই এবং বাড়ির দিকে দৌড় দিই। নওয়াজেশ ছাতা আনেনি তাই সে ও দৌড় দেয় বাসার দিকে। বাসায় ফিরে তো আমি ভিজে একাকার।