এক মেঘের গল্প
একবার ছিল একটা মেঘ। সে অন্য সব মেঘের থেকে একটু আলাদা ছিল। অন্য সব মেঘ সাদা হলেও সে ছিল নীল। সে কেন নীল, কেউ জানতো না। সে নিজেও জানতো না। সে শুধু জানতো যে, সে অন্যদের থেকে আলাদা।
একদিন সে একটা ছোট্ট গ্রামের উপর দিয়ে ভাসছিল। গ্রামের বাচ্চারা তাকে দেখে খুব আনন্দ পেয়েছিল। তারা কখনো নীল মেঘ দেখেনি। তারা মনে করতো, সে কোনো জাদুকরী মেঘ।
নীল মেঘটা বাচ্চাদের দেখে খুশি হয়েছিল। সে তাদের জন্য বৃষ্টি করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সে অন্য মেঘের মতো বৃষ্টি করতে পারতো না। সে শুধু নীল রং ছড়াতে পারতো।
তখন এক বুড়ো মানুষ এসেছিল। সে নীল মেঘটাকে দেখে হাসতে হাসতে বলল, "তুমি অন্যদের থেকে আলাদা বলেই তোমার মধ্যে একটা বিশেষ শক্তি আছে। তুমি বৃষ্টি করতে না পারলেও, তুমি আকাশকে নীল করে দিতে পারো।"
নীল মেঘটা বুড়ো মানুষের কথা শুনে ভাবতে লাগল। সে বুঝতে পেরেছিল যে, তার মধ্যেও একটা বিশেষ শক্তি আছে। সে আর নিজেকে খারাপ মনে করল না।
সেদিন থেকে নীল মেঘটা প্রতিদিন আকাশকে নীল করে দিত। আর বাচ্চারা তাকে দেখে খুশি হতো। তারা মনে করতো, সেই নীল মেঘটা তাদের জন্যই আকাশকে নীল করে।