তিনতলা থেকে দোতলা একটা রুমে ট্রান্সফার হয় জারা। এখানে একটা রুমে অবশ্য ওর মামাতো বোন জাবিন থাকে। যেহেতু জারা তার হাইপোথিসিস থেকে কারণ দর্শাচ্ছে সবারই তাকে কেমন যেন সন্দেহ হচ্ছে। কয় দিনের ডাকাডাকি তার জীবনে ফেলে গেছে গভীর ছায়া। ধোঁয়াশা কাটতে না কাটতেই ছুটির দিন ঘনিয়ে আসে। তিনদিনের মত ছুটি বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, আর সরকারিভাবে এক সপ্তাহ ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ম্যাক্সিমামই বাড়িতে চলে যাচ্ছে। জারার মামাতো বোন জাবিন ও বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে – তোমার ব্যাপারে কি কিছু জানাতে হবে, তোমার আম্মুর সাথে দেখা হলে?
না, না তেমন কিছু না আমি বললাম, তুমি যাও আমি এ-কটা দিন এক্সামের প্রিপারেশন নিব অবশ্যই।
জাবিন আর কথা না বাড়িয়ে নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে, বাড়ি যাবে বলে কথা!
ভালো থেকো, জারার উদ্দেশ্যে সে বলে ওঠে।
সম্পর্কের তিক্ততা বুঝতে পারে জারা, কিন্তু ওর নিজেরই-বা কি করার আছে?
আপাতত বিদায় জানায় জাবিনকে, সরকারি ভার্সিটির স্টুডেন্ট বলে কথা! অতীত হাতড়ে বেড়ায় জারা, কি এমন ক্ষতি হতো যদি সে চান্স পেতো? এগুলো কিছু স্টুডেন্টদের স্বপ্নই হয়ে থাকে, বাস্তবতা আসলে অন্যরকম।