নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ভিন্নধর্মী একটি বই লেখার ঘোষণা দিয়েছেন। এই বইতে রাজনীতির তুলনায় নেতৃত্বের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি জেসিন্ডা আরডার্ন তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘প্রায়শই মানুষজন আমার কাছে জানতে চায়, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার শাসনামলের ৫ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে কোনো বই লিখবো কিনা। প্রথমে, আমার উত্তর ছিল না। গত পাঁচ বছরের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আমি এ ধরনের কোনো বই লিখতে চাইনি। তবে রাজনীতির চেয়ে নেতৃত্ব নিয়ে লেখা আমার কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। তাই এই বিষয়ে বই লেখার পরিকল্পনা করেছি।'
৪২ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রকাশকদের একটি সুন্দর দলের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন তিনি। এক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় পেঙ্গুইন, যুক্তরাজ্যে ম্যাকমিলান এবং যুক্তরাষ্ট্রে ক্রাউন প্রকাশনী সংস্থা তার আসন্ন এই বই প্রকাশ করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, রাজনীতিতে তার সময়কাল নিয়ে কোনও বই লিখতে আগ্রহী নন তিনি। তবে তার পরিবর্তে, তিনি এমন একটি বই লিখতে যাচ্ছেন যা নেতৃত্ব সম্পর্কে মানুষকে বিশদভাবে জানতে এবং উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে। তার বইয়ের বিষয় হবে নেতৃত্ব, রাজনীতি নয়। এদিকে বইটির নাম এবং কখন এটি প্রকাশিত হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে আরডার্ন লিখেছেন, 'আমি আশা করি এটি এমন একটি বই হবে যা আমার সেরা কোনো কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।'
২০১৭ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছিলেন জেসিন্ডা আরডার্ন। সে সময় বিশ্বজুড়ে বামপন্থীদের একজন আইকন হিসেবে তাকে দেখা হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি নিউজিল্যান্ডবাসীকে হতবাক করে দিয়ে পদত্যাগ করেন।
২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে শ্বেতাঙ্গ এক ব্যক্তি গুলি করে ৫১ জন মুসল্লিকে মেরে ফেলে। এই হত্যাকান্ডের পর জেসিন্ডা আরডার্ন দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি যে সহমর্মিতা দেখিয়েছেন তা ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছিল। তিনি বিশ্বব্যাপী একজন মানবিক নেতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান