চারিদিকে নিস্তব্ধতা। কোথাও যেনো কোনো সাড়াশব্দ নেই। হঠাৎ করে জঙ্গলের একটি ৪০০ বছরের পুরনো গুহা থেকে কিছু মানুষের আর্তনাদ শোনা গেল। আর শোনা গেল কিছু মানুষের মাটি খোঁড়াখুড়িঁ করার শব্দ।তারপর সময় চলে যায় বিশ বছর পর।
বিশ বছর পর হালিশহরের বাগানবাড়িটা আজ যেনো আনন্দে ভেসে যাচ্ছে।মিসেস মিলা তো চাকরদের ধমধমকি পর্যন্ত শুরু করে দিয়েছে। আজ বিশ বছর পর তার প্রিয় নাতনি দেশে ফিরবে।ওইদিকে মিসেস মিলার ছেলে ও ছেলের বৌ তারা ঘরবাড়ি সাজাতে ব্যস্ত।তাদের ছোট ২ ছেলে-মেয়ে তারা তো ভারি খুশি তারা তাদের ফুফাতো বোনকে জীবনে প্রথমবার দেখবে।আর এইদিকে আমাদের গল্পের নায়িকা তনু সে তার খালার সাথে বিদেশ থেকে দেশে আসবে বিমানে করে।বিমান এসে থামে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ১ টার সময়।কিন্তু নায়িকা তো ভারী মুখ গম্ভীর করে থাকে। তার খালা তাকে কত বোঝায় যে মা তুই দেশে ফিরছিস মুখটাকে একটু হাসি খুশি করে রাখ।কিন্তু সে তো কথাই শুনছেনা।আসল কারণটা হচ্ছে বিমানে তনুর সিট পড়ে ১ম সারিতে আর তনুর খালার সিট পড়ে ৪র্থ সারিতে।কিন্তু তারাতো ১ম সারির সিট ২ টায় কিনেছিলো।এই নিয়ে বিমানবালার সাথে তর্কে জড়ায় সে। বিমানবালা বলে যে sorry mam,actually সিটটা আমরা রাকেশ চৌধুরীকে দিতে বাধ্য হয়েছি।আসলে তারা অনেক গন্য-মান্য মানুষ তো তাই আর কি?তনু কিছু বলতেই যাবে তখনই আমাদের গল্পের নায়ক রাকেশের এন্ট্রি হয়।তনু তো রাকেশ কে দেখেই ফিদা।