প্রথমতঃ এই অধমের লেখাটিকে 'চিন্তা' হিসাবে চিহ্নিত করা সমীচীন কি-না, উহা একটা বড়সড় প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তর পাঠক দিবেন - আজিকে লিখিতে বসিয়াছি, ঐ দিকটিতে যাইবার ইচ্ছা তেমন নাই।
মূলত মানুষ হিসেবে আমি বড় অলস। লেখালিখি সাধারণত নিজ মস্তিষ্কের অন্তরালে সম্পন্ন করিয়া, মস্তিষ্কের অভ্যন্তরেই উহা প্রকাশ করিয়া, হাজার খানেক টাকা কামাই করিয়া আপনাকে বড়লোক বিবেচনা করিয়াই যারপরনাই আনন্দিত হইয়া হৃষ্টচিত্তে ঘুমাইয়া পড়ি। উহাকে কাগজে-কলমে, বা হালের ক্ষুদ্র দূরালাপনি ব্যবহার করিয়া পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করিবার কোনো প্রয়াস, আমি কুম্ভকর্ণ, খুবই কম লইয়াছি। ত আজ কী-ভাবিয়া (এখানে পাঠক বিচলিত হইবেন না। কুম্ভকর্ণ টাকা ব্যতীত অন্যান্য জাগতিক চিন্তা মাথায় আনেন না।) ভাবিলাম দু'কলম লিখি।
আজিকার লেখার বিষয় - লেখা। হাঁ, লেখা। শুনুন তবে।
পুরাকালে, এই অধমের মাতাশ্রী একটা প্রতিযোগিতামূলক লেখার খবর লইয়া হাজির। (ছিঃ কুম্ভকর্ণ, শেষে কি না প্রতিযোগিতা!) আমায় দিয়া উনি একখানি গল্প না লিখাইয়া ক্ষান্ত হইবেন না। ত লিখিলাম গল্প। উহা মনঃপুত হইল না। বলিলেন, এর দ্বারা মানুষ, বিশেষত শিশুরা, কী শিখিবে? শেষতক একখানা উপদেশবাণী জুড়িয়া মাতার মনবাসনা পূরণ করিলাম। প্রতিযোগিতায় খানিক সান্ত্বনাস্বরূপ একখানা পুরস্কার (কতটা নিচে নামিবে আর তুমি, কুম্ভকর্ণ!) পাইয়াছিলাম।
উহা পাইয়া লোভ গেল বাড়িয়া। (নাঃ এ আর মানিয়া লওয়া যাইতেছে না) মাতাকে বলিলাম, পরবর্তী প্রতিযোগিতায় আমার গল্পটি আমার মত লিখিতে দাও - আমি সেরা পুরস্কারটি ঘরে আনিব।
আনিয়াছিলাম কি? উত্তর হইতেছে - আজ্ঞে না।
উপদেশবাণী ব্যতীত আজিকার যামানায় গল্প-উপন্যাস হয়? হয় বৈ কি, তবে অখাদ্য। উহাই সেবার শিখিয়া লইলাম।
শিখিলাম বটে, তবে শিক্ষা লইলাম না।
আর তাই, কুম্ভকর্ণের লেখায় পাঠকবৃন্দ হেয়াঁলি পাইবেন, সাথে চাই-কি কিছুটা হাস্যরস মিলিতেও পারে। আবার লেখাটি অখাদ্য হইতেও পারে। তবে আর যাই হউক, শিক্ষণীয় যে হইবে না এ-কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কুম্ভকর্ণের কথামালায় স্বাগতম।
মূলত মানুষ হিসেবে আমি বড় অলস। লেখালিখি সাধারণত নিজ মস্তিষ্কের অন্তরালে সম্পন্ন করিয়া, মস্তিষ্কের অভ্যন্তরেই উহা প্রকাশ করিয়া, হাজার খানেক টাকা কামাই করিয়া আপনাকে বড়লোক বিবেচনা করিয়াই যারপরনাই আনন্দিত হইয়া হৃষ্টচিত্তে ঘুমাইয়া পড়ি। উহাকে কাগজে-কলমে, বা হালের ক্ষুদ্র দূরালাপনি ব্যবহার করিয়া পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করিবার কোনো প্রয়াস, আমি কুম্ভকর্ণ, খুবই কম লইয়াছি। ত আজ কী-ভাবিয়া (এখানে পাঠক বিচলিত হইবেন না। কুম্ভকর্ণ টাকা ব্যতীত অন্যান্য জাগতিক চিন্তা মাথায় আনেন না।) ভাবিলাম দু'কলম লিখি।
আজিকার লেখার বিষয় - লেখা। হাঁ, লেখা। শুনুন তবে।
পুরাকালে, এই অধমের মাতাশ্রী একটা প্রতিযোগিতামূলক লেখার খবর লইয়া হাজির। (ছিঃ কুম্ভকর্ণ, শেষে কি না প্রতিযোগিতা!) আমায় দিয়া উনি একখানি গল্প না লিখাইয়া ক্ষান্ত হইবেন না। ত লিখিলাম গল্প। উহা মনঃপুত হইল না। বলিলেন, এর দ্বারা মানুষ, বিশেষত শিশুরা, কী শিখিবে? শেষতক একখানা উপদেশবাণী জুড়িয়া মাতার মনবাসনা পূরণ করিলাম। প্রতিযোগিতায় খানিক সান্ত্বনাস্বরূপ একখানা পুরস্কার (কতটা নিচে নামিবে আর তুমি, কুম্ভকর্ণ!) পাইয়াছিলাম।
উহা পাইয়া লোভ গেল বাড়িয়া। (নাঃ এ আর মানিয়া লওয়া যাইতেছে না) মাতাকে বলিলাম, পরবর্তী প্রতিযোগিতায় আমার গল্পটি আমার মত লিখিতে দাও - আমি সেরা পুরস্কারটি ঘরে আনিব।
আনিয়াছিলাম কি? উত্তর হইতেছে - আজ্ঞে না।
উপদেশবাণী ব্যতীত আজিকার যামানায় গল্প-উপন্যাস হয়? হয় বৈ কি, তবে অখাদ্য। উহাই সেবার শিখিয়া লইলাম।
শিখিলাম বটে, তবে শিক্ষা লইলাম না।
আর তাই, কুম্ভকর্ণের লেখায় পাঠকবৃন্দ হেয়াঁলি পাইবেন, সাথে চাই-কি কিছুটা হাস্যরস মিলিতেও পারে। আবার লেখাটি অখাদ্য হইতেও পারে। তবে আর যাই হউক, শিক্ষণীয় যে হইবে না এ-কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কুম্ভকর্ণের কথামালায় স্বাগতম।