Posts

প্রবন্ধ

কবি ও নারীবাসনা; একজন হেলাল হাফিজ

December 19, 2024

ইশতিয়াক জুবায়ের আহমেদ

Original Author ইশতিয়াক জুবায়ের আহমেদ

32
View

কবি হেলাল হাফিজ মারা গেলেন ১৩ ডিসেম্বর, শুক্রবার, ২০২৪। বাথরুমে রক্তাক্ত পড়ে ছিলেন, স্ট্রোক, হয়তো পা হড়কেছেনও। সারা জীবনই কি এক অসীম শূন্যতার ভেতরে হড়কে পড়ে যাননি তিনি? নিঃসঙ্গতা গিলে খায় আবার খায়ও না। তবে, নাম - যশ একসময় নারীকে পুরুষ এবং পুরুষকে নারীর ঘরে নিয়ে যেতে পারে, যায়। অনাবৃত স্তনে হাত রাখলে মানুষের একাকীত্ব আচমকা বিজলির মত চলে যেতে পারে, যায়। জাদুর শহর ঢাকায় কিংবা বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ঐ জাদুকরী নারী পুরুষেরা খেলা করে। জান্নাতুন নাঈম প্রীতি হেলালের মৃত্যু পরবর্তী এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “হেলালের প্রেম ছিল তসলিমা নাসরিনের সাথে।”

আরো অনেকের সাথেই ছিল। হেলাল প্রীতিকে বলেছেন, “প্রীতি, তোমার বুকের ওড়না আমার প্রেমের জায়নামাজ।” 

না, হেলেন নামক দুঃখটি - যার গল্প হেলালকে ঘিরে মানুষ বলে বেড়ায় - ওটি হল এনজয়েবল দুঃখ। ফ্লেক্স যাকে বলে, যে, বিচ্ছেদের একটা রেমার্কেবল সাইন - যার মধ্য দিয়ে কবিতার শুরু হয়। 

প্রীতি লিখেছেন, “হেলাল হাফিজ যৌবনে ছিল জিগেলো। গুলশানের পয়সাওয়ালা নারীরা তার সময় ও শরীর কিনতো টাকা দিয়ে। আমি জিজ্ঞেস করলাম - কেমন লাগতো এই পেশা? সে হেসে বলেছিল - বেশিরভাগ পুরুষ নারীদের ভাড়া করে, সে পুরুষ হয়ে নারীদের ভাড়ায় খাটতে পারছে, ব্যাপারটি মজার।”

তার মানে কী দাঁড়ালো? আমাদের সহজ সরল বাঙালি দশ কোটি কবির মনে কাকের বাসার মতো বেধে থাকা নিঃসঙ্গতা, নারীহীনতা কিন্তু নয় বিরহের কবিতা - হেলালের কিংবা কবিদের অধিকাংশেরই। জীবন ফ্যান্টাসি নয় - শরীর লাগে। গ্লুকোজ এর মতো অপরিহার্য শরীর - শরীর লাগে। কাঙ্ক্ষিত নারীটিই নয় চিরন্তন কথা। শোক ও সুখ সময়ের বিভিন্ন আঘাতে পরিবর্তন হতে থাকে, হয়।

Comments

    Please login to post comment. Login