কবিতা কী? কেন আমরা কবিতা পড়ি? এ প্রশ্নগুলো হয়তো কখনও কখনও আমাদের মনে জেগে ওঠে। কবিতা কি কেবল ছন্দে সাজানো শব্দ, নাকি তার চেয়েও বেশি কিছু? কবিতা কি শুধু মনের আনন্দ দেয়, নাকি আমাদের চেতনার দুয়ার খুলে দেয়?
কবিতা হচ্ছে অনুভূতির ভাষা, হৃদয়ের কথা। কবির মনের গভীর থেকে উৎসারিত হয়ে শব্দের মাধ্যমে ধরা দেয় আমাদের সামনে। কবিতা প্রকৃতির সৌন্দর্য, মানুষের আবেগ, জীবনের সুখ-দুঃখ, সমাজের অসঙ্গতি – সবকিছুকেই ছুঁয়ে যায় নিজের অনন্য স্পর্শে। কবিতা আমাদের চোখে নতুন করে জগৎ দেখায়, আমাদের কানে নতুন সুর শোনায়।
আমরা কবিতা পড়ি কেন? কারণ কবিতা আমাদের মনের কথা বলে। কবিতা আমাদের আবেগকে জাগিয়ে তোলে, আমাদের চিন্তাকে উস্কে দেয়। কবিতা আমাদের নিজের অস্তিত্বের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে, আমাদেরকে নিজেদের সম্পর্কে আরও গভীরভাবে ভাবতে শেখায়। কবিতা আমাদেরকে ভালোবাসতে শেখায়, ঘৃণা করতে শেখায়, স্বপ্ন দেখতে শেখায়।
কবিতা আমাদেরকে সমাজের অসঙ্গতির প্রতি সচেতন করে তোলে। কবিতা আমাদেরকে ন্যায়বিচারের জন্য লড়তে শেখায়, সমতার জন্য প্রতিবাদ করতে শেখায়। কবিতা আমাদেরকে মানবতার মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে।
কবিতা পড়া আসলে এক ধরনের আনন্দ। কবিতা আমাদেরকে এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়, যেখানে আমরা নিজেদের হারিয়ে ফেলি। কবিতা আমাদেরকে ভাবায়, হাসায়, কাঁদায়। কবিতা আমাদেরকে স্বপ্ন দেখায়, আশা জাগায়।
কবিতা পড়া আসলে এক ধরনের আত্মউপলব্ধি। কবিতা আমাদেরকে নিজেদের সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সাহায্য করে। কবিতা আমাদেরকে আমাদের নিজস্ব পরিচয়ের সন্ধান দেয়।
তাই, কবিতা কী, কেন আমরা কবিতা পড়ি – এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে আমাদের নিজেদের ভেতরে। কবিতা পড়তে হবে মন দিয়ে, অনুভব করতে হবে হৃদয় দিয়ে। তাহলেই আমরা বুঝতে পারব কবিতার প্রকৃত মর্ম, উপলব্ধি করতে পারব কবিতার প্রকৃত সৌন্দর্য।