একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল পরীক্ষার আগে অভিভাবকদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন,
চিঠিতে লেখা কথাগুলো ছিলো এমন
প্রিয় অভিভাবকগন
কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার সন্তানের পরীক্ষা ও পরবতীতে রেজাল্ট দেয়া শুরু হবে।
আমি জানি, আপনারাও আমার মতো খুব আশা করছেন যে, আপনাদের ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করবে।
কিন্তু সব সময় একটা বিষয় মনে রাখবেন যে, যারা পরীক্ষা দিতে বসবে,
তাদের মধ্যে একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে কোনো শিল্পী হবে, যার গণিত শেখার কোনো দরকার নেই,
এদের মধ্যে একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হবে, যার ইতিহাস কিংবা ইংরেজি সাহিত্যে পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন নেই।
এদের মধ্যে একজন সংগীতশিল্পী হবে, যে রসায়নে কতও নম্বর পেয়েছে তাতে তাঁর ভবিষ্যতে কিছু আসে-যায় না।
এদের মধ্যে একজন খেলোয়াড় হবে, তাঁর শারীরিক দক্ষতা পদার্থবিজ্ঞান থেকে বেশি জরুরি।
যদি আপনার ছেলে বা মেয়ে পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পায়, সেটা হবে খুবই চমৎকার। কিন্তু যদি না পায় তাহলে প্লিজ, তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস কিংবা সম্মানটুকু কেড়ে নেবেন না।
তাদেরকে বুঝিয়ে বলবেন যে, পরীক্ষার নম্বর নিয়ে যেনও তারা মাথা না ঘামায়, এটা তো শুধু মাত্র একটা পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তাদেরকে জীবনে আরো অনেক বড়ো কিছু করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আপনি আপনার সন্তানকে আজই বলুন যে, সে পরীক্ষায় যতো নম্বরই পায়, আপনি সব সময় তাকে ভালোবাসেন এবং কখনোই পরীক্ষার নম্বর দিয়ে তার মান বিচার করবেন না!
প্লিজ, এই কাজটি অবশ্যই করুন,
যখন এটা করবেন দেখবেন যে, আপনার সন্তান একদিন পৃথিবীটাকে জয় করবে!
একটি পরীক্ষা কিংবা একটি পরীক্ষায় কম নম্বর কখনোই তাদের স্বপ্ন কিংবা মেধা কোনও মতেই কেড়ে নিতে পারবে না ৷
প্লিজ, আরেকটা কথা মনে রাখবেন যে, এই পৃথিবীতে কেবল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার, প্রফেসর বা আইনজীবীরাই একমাত্ৰ সুখী মানুষ নন ৷ এই পেশাজীবীরা ছাড়াও আরও অন্য পেশাজীবী সুখী মানুষ ও এই পৃথিবীতে আছে।