একটি মেয়ে ছিল নুপুর। সে তখন ক্লাস ১০ এ পরে মাদরাসাতে সে তেমন মেধাবী ছিল না পড়াশনায় । তার মেয়ে বান্ধবী ক্লাসের সবাই কম বেশি ছিল তার কোনো ছেলে বন্ধু ছিল না। এভাবে চলতে চলতে সে ক্লাস ১০ শেষ করে সে ssc তে ৩.৮০ পেয়ে পাস করে। তার পর সে ক্লাস ইন্টার এ উঠে সে একই মাদরাসায় থাকে তার বান্ধবীদের সাথে তার দিন কাল ভালোই কাটছিল তার পর সে ফেসবুক এ একটি ছেলের সাথে পরিচয় হয়। ছেলেটির নাম আশফাত ছিল ছেলেটি খুব সুন্দর ছিল ছেলেটি নুপুরকে মেসেজ দিত আর একজন আরেকজনের সাথে পরিচয় হলো তার পর মেয়েটি জানতে পারল ছেলেটি তার একই ক্লাসে পরে আর এক মাদ্রাসায় আর মেয়টি মানবিক বিভাগের ছাত্রী ছিল আর ছেলেটি ও তার পর ছেলেটি মেয়ে কে বলে দেখা করবে মেয়েটি বললো আমরা মাদরাসায় দেখা করবো মেয়েটি দুই জন বান্ধবীর নাম বললো ছেলেটিকে তার মাদরাসার হাসি, খুশি এই দুই জন এর নাম বলতেই ছেলেটি চিনে গেল মেয়ে দুইটি কে তার পর নুপুর বললো তাদের সাথে আমি থাকি নীল বরকা পড়াটা আমি ততার পরদিন ছেলেটি মাদ্রাসায় ছেলেটি আসে মেয়েটি তাকে দেখে চিনে যায় আর নুপুর আশফাত কে দেখে ক্রাশ খায় আবারও এরপর নুপুর কে ও দেখে আশফাত বাট আশফাত এর তেমন ভালো লাগেনি নুপুর কে এভাবে চলতে চলতে একদিন নুপুর কে মেসেজ দেয় ফেসবুকে বলে আই লাভ ইউ তার পর নুপুর চুপ করে ছিল তার পর আশফাত বলে দোস্ত তোর সাথে মজা করছি তার পর নুপুর আরো ইমোশনাল হয়ে পরে ওর ওপর তার পর দিন থেকে নুপুর কে আশফাত ওর আইডি থেকে এস এম এস দিত আনেক ভালোবাসার কথা বলতো পার বলতো দোস্ত কাউকে বলবি না নুপুর কাউকে বলতো না তার পর আনেক পরে নুপুর তা মাদরাসার বান্ধবী হাসি খুশি কে বলল তারা শুনে ছেলেটির মেসেজ দেখতে চাইল নুপুর দেখাল আর নুপুর অনেক খুশি ছিল আশফাত ওর পেছনে পরে আছে বুঝতে পেরে নুপুর এর হাসি, খুশি বান্ধবী মেসেজ দেখে পুরাই অবাক তার পর আশফাত আসে আর নুপুর এর ফোন খুশির কাছে দেখে ফেলে তার পর নুপুর ভয়ে ফোন ওর থেকে নিয়ে ফেলে আশফাত আর দেখেনি তার পর একদিন শুনি কিভাবে যেন আগের থেকে নাকি খুশি আশফাতকে পছন্দ করতো কিন্তু বলতো না আর কাউকে বুঝতে দিত না আশফাতকে দেখে খুশির অনেক ভাব বেরে যেত আর মাদ্রাসায় আনেক সাজগোজ করে আসতো পরে একসময় যানতে পারলাম আশফাত নাকি তাকে পছন্দ করতো। তার সাথে আমার সাথে পরিচয় হওয়ার আগে খশির সাথে কথা হতো তাদের দুজনের সাথে আনেক কথা হতো তাদের মাঝে অনেক কিছু হইছে কিন্তু কখনো খুশি শিকার করেনি পরে নুপুর একভাবে যানতে পেরেছে আশফাত নাকি খুশিকে ছেড়ে দিয়েছে এতে আনেক কষ্ট পায়।তার পর চলে আসি মাদরাসার কথায় নুপুর ইন্টার এ উঠে প্রতিদিন ক্লাসের পড়া পরেনুপুর যেত আশফাত এর কাছে ভালো ছাত্রী হওয়ার জন্য আর আশফাত ও প্রতিদিন পড়ে যেত কিন্তু সে তিন ক্লাস করে চলে যেত এজন্য নুপুর এর কাছে একটু ও ভালো লাগতো না আআর নুপুর ও একদিন ও ক্লাস মিস দিত না।
আশফাত মাদরাসায় না আসলে নুপুর এর কাছে ভালো লাগতো না মন খারাপ থাকতো। নুপুর নিজের অজান্তে আশফাতকে খুব ভালোবেসে ফেলছিল
কিন্তু এটা আশফাত যানতো না।
কিন্তু আমাদের প্রতিদিন মেসেজে কথা চলতো এটা হাসি খুশি যানতো কিন্তু এটা ওদের ভালো লাগতো না একদিন খুশি নুপুর এর থেকে ওর ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড চায় আর সে বিশ্বাস করে দিয়ে দেয় কিন্তু সে তো যানতো না যে এই খুশির মতলব খারাপ ছিল,সে নুপুর এর আইডি থেকে নুপুর সেজে আসফাতকে মেসেজ দিত নুপুর কে ওর কাছে খারাপ বানাতে আর নুপুর এর আর ওর মেসেজ ও দেখতো।
তারপর একদিন একটা মেয়ে নুপুরকে মেসেজ করে ফেসবুক থেকে রচয়িতা নামের একটা মেয়ে আর বলে আশফাতকে চিন আর আশফাত এর আইডি ছবি ও দেয় আর বলে এই ছেলের আইডির ছবি পাঠাও তো কিন্তু নুপুর দেয়নি তারপর নুপুর আশফাতকে যানায় পরে ও বলে কথা বলবি না আমি তাকে চিনি না অস্বীকার করে তাকে।
তার পর নুপুর খুশিকে যানায় আর খুশি নুপুর এর আইডি থেকে আর বলে তোমার কোনো ভয় নেই সব বলো কিন্তু মেয়ে টি স্বীকার করলো না কিছু তার পর ও খুশি বার বার জিজ্ঞেস করতে থাকলো পরে মেয়েটি স্বীকার করলো বলে আশফাত এর সাথে রিলেশন ছিল তার সাথে না বেইমানি করে আরো কিছু নাকি করছে তার পর একদিন আশফাত এর সাথে নুপুর এর সাথে তেমন কথা হতো না।
তার পর নুপুর একটা ফেক আইডি খুলে আর আশফাত একটা ফেক আইডির সাথে আমার সাথে এড হয়ে যায় তার পর আমার সাথে ঝগড়া করতো আর পিচ্চি বলে ডাকতো আমরা এভাবে এভাবে আনেক কথা বলতে বলতে খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে যাই আর নুপুর ফিল করতে পারে ওইটাই আশফাত আর নুপুর কে বলে চলো পালিয়ে বিয়ে করি কিন্তু নুপুর রাজি হলো না দুই জন দুই জনের সাথে অনেক কথা হয় তার পর হুট করে কথা ছেড়ে দিল আশফাত আর তখন নুপুর এর ইন্টার শেষ হয়।
তার পর দুই জনের সাথে তিন বছর কথা ছিল না। আর এই তিন বছরে আশফাতে নুপুর খুব মিস করে ভালোবাসতে থাকে।
আর আশফাত এর কোনো খোঁজ ছিলনা। তার পর একদিন আশফাত নুপুরকে ফেসবুকে ফেন্ড রিকয়েস্ড দেয় আর নুপুর এক্সপ্ট করে ফেলে তখন নুপুর কলেজে অর্নাস এ আর ছেলেটি মাদরাসায় পরে অর্নাস এ তার পর চলে আসি মুল কথায় আমাকে মেসেজ দিয়ে বলে কেমন আছোত দোস্ত নুপুর বললো ভালো তার পর বলে আমাকে চিনছোত আশফাত বলে জি চিনেছি। আশফাত বলে তুমি আমার নামে খুশির কাছে কি বলছো আমি নাকি তোমাকে বিয়ে করতে চেয়েছি নুপুর বলছে না তো আমি কিছু বলিনি পরে আশফাত বলে ওহ পরে নুপুর এর সাথে এই ব্যাপারে আর কথা বলেনি।
তার পর আশফাত নুপুর এর সাথে ভালো ভাবে দিন রাত কথা বলতো মেসেজ এ তার পর একদিন নুপুর কে আই লাভ ইউ বললো আর আনেক সপ্ন দেখায় আনেক ভালোবাসা, যত্ন দেখায় তার পর ও নুপুর রাজি হয় নি কারন সে যানতো আশফাত আনেক প্রেম করেছে তাদের কষ্ট দিছে নুপুর ককি করবে তার মন তো মানছে না কারন সে আশফাতকে ভালোবাসতো সে ভাবছে হয়তো অনেক ভলোবেসে তাকে পরিবর্তন করে ফেলবে ভালো হয়ে যাবে তার পর আশফাত আনেক বার রিকোয়স্ট করে নুপুর কে নুপুর আনেক ভেবে চিন্তে রাজি হয়।তার পর দুই জন দুই জনকে রোমান্টিক কথা বলা শুরু করে আর আশফাত নুপুরকে পাগলের মতো চাইতো নুপুর নিজেকে খুব ভাগ্যবান ভাবতে শুরু করে যে আশফাত তাকে এত লাভ করে তার পর আশফাত নুপুরকে বলে দেখা করবে নুপুর রাজি হলো তবে তার কলেজে দেখা করতে বলে তার পর আশফাত নুপুরকে রাস্তায় থেকে রিসিভ করে তার পর দুই জন ডেটিং এ যায় তাদের দুজনের আনেক কাটানো মুহুত্ব কাটায় তারা তার পর আশফাত নুপুরকে ছেড়ে চলে যায কারন তার ক্লাস করে বাসায় যেতে হবে তার পর নুপুরকে কলেজে দিয়ে আশফাত চলে যায় এভাবে চলতে চলতে দুই জন এর মাঝে আরো ও ভালোবাসা বাড়ে।
আবাও আশফাত নুপুরকে দেখা করতে বলে নুপুর রাজি হলো দুজন এক সাথে ঘুরতে গেল নুপুর আনেক খুশি হয় দুই জন আনেক সুন্দর মুহুর্ত কাটালো আর বাড়ি আসার পথে বৃষ্টি নামলো দুই জন ভিজলো হাতে হাত রেখে পরে নুপুরকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে আশফাত বাড়ি চলে আসলো তাদের অনেক অনেক কাটানো মুহুত্ব সুন্দর ছিল। তার পর আশফাত নুপুরকে বলে গাড়িতে উঠিয়ে দিল বললো বাড়ি গিয়ে আমাকে ফোন দিবে। তার পর আশফাত মাদরাসায় চলে যায়।বাড়ি ফিরে নুপুর কল দিল কথা হলো । তার পর রাতে আশফাত এর সাথে নুপুর এর কথা হয় এভাবে আস্তে আস্তে তাদের ভালোবাসা বাড়ে। তার পর একদনি নুপুর এর বিয়ের পোস্তব আসলো নুপুর না করে দিয়েছে কারন সে আশফাতকে ভালোবাসে আশফাত নুপুরকে ওয়াদা দেয় তোমাকে আমার থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না আমি তোমাকে এক বছর পর বিয়ে করবো। এভাবে একটার পর একটা বিয়ে সমন্ধ আসতে শুরু করে কিন্তু নুপুর বিয়ে করবে না এটা তার পরিবারকে যানায় কিন্তু তকরা শুনেনি এই দিকে আশফাতকে নুপুর যানালো আশফাত বললো তুমি রাজি হবে না। তার পর পর মেয়ে টি তার ফেমিলির মুনুষের চাপে পরে বিয়ে তে রাজি হলো। তার পর আশফাতকে যানায় আর বলে আনেক রিকোয়েস্ট ও করে যে সে যেন এসে তার পরিবার এর মানুষকে বোঝায় আর যেন তাদের বিয়ের কথা বলে। কিন্তু আশফাত শোনেনি উল্টো তাকে সব কিছু থেকে ব্লোক করে দেয় পরে দুই দিন পর খুলে দেয় কিন্তু নুপুর এর এতো দুঃখে তার পাশে আশফাত ছিল না নুপুর একাই নিজেকে সান্তনা দিয়েছে তার পাশে কেউ ছিল না শেষ পর্যায় আনেক বিয়ে ভাঙ্গার জন্য আনেক কিছু করেছে কিন্তু লাভ হয় নি। তাকে তার পরিবার অনেক জোরর করে বিয়ে টা দিয়ে ফেলে নুপুর এর মরার মতো অবস্থা হয়ে পরে কিন্তু কেউ পাশে ছি না আর আশফাত ও তার কোনো খোঁজ নেয় নি পরে।
****আচ্ছা আশফাত কি সত্যিই নুপুরকে ভালোবাসতো নাকি অভিনয় করছে সব
আসলে কি এক তরফা ভালোবাসা সুখ দেয় না কষ্ট যারা কিন্তু আমাদের মন তা মানে না******
*****কিন্তু নুপুর এর মন ভেঙে গেছে সে খুব কষ্ট পেয়ে ছে ******