অনা : কিরে কোথায় তুই?
মহুয়া :এই তো তোর আশেপাশেই আছি
অনা দেখ ভালো হচ্ছে না কিন্তু সামনে আয় বলছি
মহুয়া আরে বাবা রাগ করছিস কেন এই তো আমি বড় গাছটার পিছনে ছিলাম আর তুই আমায় খুঁজেই পেলি না৷ হা হা হা
অনা হয়েছে এবার চল ওরা হয়তো চলে এসেছে এতখনে
মহুয়া হুম চল
যেতে যেতে পরিচয় টা দেওয়া যাক।বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে মহুয়া৷ আমার একটা বড় ভাই আছে। যার নাম মুয়ান।এবার মাস্টারস শেষ করে বাবার সঙ্গে বিজনেসে শুরু করেছে। ভাইয়া আমাকে খুব বেশি ভালোবাসে। আর অনা হচ্ছে আমার বন্ধু আমাদের আরও কিছু বন্ধু আছে তারা হচ্ছে আয়াত মেহনুর নুহাশ ও রেদোয়ান। আমরা একেবারে জানের জিগার দোস্ত। সব সময় একসঙ্গে থাকি।ছোটবেলায় থেকে আমরা একসঙ্গে।চলে এসেছি আমরা প্রায় ওদের কাছে।
অনা ঐ তোরা ওরা চল।আজকে ওদের মজা দেখাবো। আমাদের রেখে চলে আসোনা। দেখ এবার কি করি তোদের।
মহুয়া হুম চল। তার আগে এগুলো তো নে
অনা হুম দে
আয়াত মেহনুর আ আ
নুহাশ কি হয়েছে কি এভাবে চিল্লাচ্ছিস কেন তোরা
অনা শুরু কর মহুয়া।
মহুয়া দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা
রেদওয়ান আরে আরে কি করছিস তোরা কান ছাড় বলছি
মহুয়া একদম ছারবো না
নুহাশ ওদের তেলাপোকা দিলে আর আমাদের কান মলে দিলি এটা কি ঠিক করলি
মহুয়া একদম ঠিক করেছি। তোরা আমাদের রেখে এসেছিস কেনো
আয়াত আমরা তো গল্প করতে করতে চলে এসেছি
অনা বাহ আমাদের রেখে তোরা গল্প করছিলি তো কি নিয়ে গল্প করছিলি তোরা
মেহনুর আরে আমাদের ভার্সিটির ভর্তির বেপারে কথা বলছিলাম
মহুয়া ও আচ্ছা
রেদোয়ান হুম আর তোরা এসে এগুলো করলি অনা বেশ করেছি
মেহনুর চল কোন কফিশপ এ গিয়ে বসি
নুহাশ চল
হটাৎ করে মহুয়ার এক জনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পরে যেতে নেয়।ঠিক তখন লোকটা তাকে ধরে ফেলে।
সবাই একসঙ্গে লোকটার ওপর চিৎকার করে ওঠে।
মহুয়া ঠিক হয়ে দাঁড়িয়ে কানা নাকি আপনি দেখে চলতে পারেন না। নাকি চোখ পকেটে রেখে হাঁটছেন
লোকটা কিছু একটা বলতে নিয়েও কিছু না বলই হন হন করে গাড়িতে উঠে চলে গেল
আয়াত কি লোক রে বাবা
নুহাশ ঠিক আছিস তুই
মহুয়া হুম ঠিক আছি আমি চল
অনা রেদোয়ান আয়াত হুম চল
চলবে