বইমেলার ইতিহাস ও মূলভাব
একটি গল্প ১৯৭২ সালের এক শান্ত বিকেলে, ঢাকা শহরের বাংলামঞ্চে একটি ছোট্ট আয়োজন শুরু হলো—একটি বইমেলা। স্বাধীনতার পর, নতুন স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ, বইমেলার মাধ্যমে তার সংস্কৃতির চেতনা পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিল। প্রথম বইমেলা ছিল ছোট, তবে তা ছিল বিশেষ, কারণ এটি একটি জাতির ইতিহাস ও আত্মপরিচয়ের পুনর্গঠন করার প্রথম পদক্ষেপ ছিল। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত বইমেলা বাংলা সাহিত্যের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির একুশে বইমেলা নতুন করে জন্ম নেয়, নতুন লেখক, নতুন বইয়ের মাধ্যমে। পাঠক, লেখক, প্রকাশক—সবার মিলনমেলা এটি। এখানে বইয়ের পাতায় লুকানো থাকে এক একটি গল্প, ইতিহাস, আর সংস্কৃতির খোঁজ। ভাষা আন্দোলনের চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধের গৌরব—সব কিছুই মিলেমিশে এক হয়ে ওঠে বইমেলায়।
এটি শুধু বইয়ের মেলা নয়, এটি একটি জাতীয় উৎসব। এমন একটি জায়গা, যেখানে মানুষ শুধুমাত্র বই কেনার জন্য আসে না, তারা আসে নিজেদের চেতনা, সংস্কৃতি, এবং ইতিহাসের সঙ্গে আবারও পরিচিত হতে। এটি একতার উৎসব, নতুন সৃষ্টির আলো।
বইমেলা, তার ইতিহাসের মধ্যে বহন করে যে মূল ভাবনা—সে হলো জ্ঞান ও সৃজনশীলতার প্রসার। এটি জাতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখে, ভবিষ্যতের জন্য প্রেরণা দেয় এবং জাতির অগ্রগতির পক্ষে এক শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।