ফজরের আজান পরলো। চোখ ডলতে ডলতে বিছানা থেকে উঠলো উমেদ। ওযু করে এসে নামাজ এর জন্য মসজিদের উদ্দেশ্য রওনা দিলো। মসজিদে সালাত আদায় করে তার বাসার পথে আসছিলো আর সকালের সুন্দর আবহাওয়া অনুভব করছিলো। কি সুন্দর প্রকৃতি। পাখির কিচির মিচির শব্দ। উমেদ সবসময় একটা কথা বিশ্বাস করে সেটা হলো "সকালে চিন্তা করুন। দুপুরে কাজ করুন। সন্ধ্যায় খাবেন। এবং রাতে ঘুমান।" তাই সে তার বাসার দিকে আসছে আর তার interview এর কথা ভাবছে । ওহ্ গল্পের চরিত্র গুলো কে পরিচয় করানো হয় নি,
উমেদ মোস্তফা > গল্পের নায়ক
আয়েশা আহমেদ> গল্পের নায়িকা
শরিফ মোস্তফা > উমেদের বাবা
খাদিজা আক্তার >উমেদের মা
ফারুক আহমেদ > আয়েশার বাবা
মুনতাহার বেগম > আয়েশার মা
বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে চুলায় এক কাপ চা বসিয়ে নিজের টেবিলে গিয়ে বসে। তার পর চাকরির বই নিয়ে পড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে তার চা হয়ে গেলে চায়ের কাপ টা নিয়ে আর বই টা নিয়ে বারান্দায় এসে দাড়ায়। বারান্দা থেকে যত দূর তার চোখ যাচ্ছে সব যেন নিরব কোলাহল হীন। হিমেল বাতাসে তার চুল গুলো উড়ে যাচ্ছে। চা এর কাপে চুমুকে দিতে দিতে সে ভাবছে এবার যদি তার চাকরি টা না হয় তাহলে তার অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যাবে।
দেশের বাড়ীতে তার অসুস্থ বাবা মা। তাদের জন্য টাকা পাঠাতে হয়। ছোট একটা ভাই রয়েছে তাদর পড়াশোনার খরচ। সব চলছে তার একটা মাত্র টিউশনির উপর। তার একটা চাকরি খুব প্রয়োজন যেকোনো মূল্য। তবে এটা তার প্রথম ইন্টারভিউ না এর আগেও সে আরও কয়েকটি ইন্টারভিউ দিয়েছে।
তার সার্টিফিকেট আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো। স্কুলে তার রোল ১-৩ এর বাইরে যায় নি। কলেজে ও ভার্সিটি তেও তার রেজাল্ট ছিল ফাস্ট ক্লাস। তাও তার চাকরি না হওয়ার কারন সে ঘুষ দিয়ে অসৎ পথে চাকরি নিতে চায় না। তার জন্য অনেক ইন্টারভিউ দেওয়ার পরও তার চাকরি হয়নি। সে আল্লাহ কে ভয় করে। তার বিশ্বাস আল্লাহ তার জন্য যতটুকু রেখেছে সে ততটুকুই পাবে।
এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার চোখ পড়ে তার হাতের ঘড়ির দিকে, সে দেখে ঘড়িতে তখন ৮.০০ টা বেজে গেছে। সে তাড়াতাড়ি করে তার রুমে এসে বই টা রেখে গোসল করতে যায়। গোসল করে এসে তার বন্ধুর কাছ থেকে আনা Formal T-shirt টি পরে পরিপাটি হয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখছে সবকিছু ঠিক আছে কি না। তারপর রেডি হয়ে রাতের অবশিষ্ট থাকা পানি ভাত গুলো লবণ আর পেয়াজ দিয়ে খেয়ে বেড়িয়ে পড়ে তার গন্তব্য। বাসা থেকে বেড়িয়ে লোকাল বাসের অপেক্ষায় তাকে উমেদ। বাস আসে ঠিক ৯.০০টা। তার পর বাসে উঠে নিজ গন্তব্যে ছুটতে থাকে সে।
চলবে............
গল্পের নাম : "বিশ্বাসের পথচলা"
পর্ব : ০১
কাহিনি ও লেখা : শাহরিয়ার আহমেদ