উপন্যাসের নাম: অন্ধকারের ছায়া
সিরিজ ১: হারানো চিঠি
১৯৯৫ সালের এক বর্ষার রাত। ছোট্ট পাহাড়ি শহর সিমলাতে, একটি প্রাচীন বাড়িতে অদ্ভুত কিছু ঘটনার সূত্রপাত হয়। বাড়িটির মালিক, বৃদ্ধ রমেশ শর্মা, এক সকালে অদৃশ্য হয়ে যান। কেবল একটি চিঠি পাওয়া যায়, যাতে লেখা:
"যে সত্য একবার ঢেকে যায়, তা কখনো চিরতরে হারিয়ে যায় না।"
চিঠিটির পাওয়া যায় তরুণ সাংবাদিক আরিয়া সেনের হাতে। আরিয়া নিজের জেদের কারণে রহস্য উন্মোচনে নামেন। কিন্তু এটি শুধুই একটি নিখোঁজ ঘটনার গল্প নয়—এটি এক গভীর ষড়যন্ত্রের শুরু।
প্রথম অধ্যায়: অদৃশ্য মানুষ
গল্প শুরু হয় আরিয়া সেনের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত দিয়ে। তিনি একটি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক, যিনি কেবল চাঞ্চল্যকর গল্পের খোঁজে থাকেন। রমেশ শর্মার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তাকে আকৃষ্ট করে। তদন্তে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, এই বাড়িতে অতীতে বেশ কয়েকটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে, যার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা নেই।
তদন্ত করতে গিয়ে আরিয়া বাড়িটির পুরনো মালিকদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। তাদের একজন জানান, রমেশ শর্মার পরিবারে প্রজন্ম ধরে একটি প্রাচীন রহস্য ছিল, যা কেউ প্রকাশ করতে পারেনি।
কিন্তু আরিয়ার অনুসন্ধান যত গভীরে যায়, ততই তিনি অনুভব করেন, কেউ যেন তাকে অনুসরণ করছে। তার অ্যাপার্টমেন্টে রহস্যময় ছায়া দেখা দেয়, তার জিনিসপত্র সরে যায়, এবং একদিন তার ডেস্কে একটি পুরনো পাণ্ডুলিপি পড়ে থাকে। সেই পাণ্ডুলিপিতে লেখা থাকে রমেশ শর্মার অদ্ভুত স্বীকারোক্তি।
আরিয়া যখন পাণ্ডুলিপি পড়তে শুরু করেন, তখন একটি ভয়াবহ সত্য প্রকাশ পায়। এটি শুধুই একটি নিখোঁজ ঘটনা নয়, বরং একটি শতাব্দীপ্রাচীন অভিশাপের গল্প, যা রমেশ শর্মাকে গ্রাস করেছিল।
আরিয়ার সামনে দুটি পথ: রহস্যের সমাধান খোঁজা বা নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য এটি থেকে দূরে থাকা। কিন্তু আরিয়া জানে, এই সত্য প্রকাশ না করলে আরও অন্ধকার নেমে আসবে।